ছবি- বহুমাত্রিক.কম
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১০১ তম স্মরণ উৎসব ও প্রথম মণিপুরী নৃত্য দিবস উদযাপিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ও মণিপুরী নৃত্যের শতবর্ষের সেতুবন্ধন শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও নৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির আয়োজনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ঘোড়ামারাস্থ সমিতির প্রধান কার্যালয়ে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় আলোচনা ও নৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের মাছিমপুরেও শুক্রবার মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও র্ভাচুয়াল আলোচনা ও নৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
একশত এক বছর আগে ১৯১৯ সনের ৫ নভেম্বর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটে এসে মাছিমপুরে মণিপুরী জাতির অপরূপ নৃত্যকলা দেখে অভিভূত হন। সেই দিনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেট শহরে পা রাখেন। তাঁর সিলেট পরিভ্রমনেরও ১০১ বছরে পদার্পন করলো আজ।
সেই সময়ে মনিপুরীদের নৃত্যকলার সৌন্দর্যে তিনি মুগ্ধ হয়ে নৃত্যকলাকে শান্তিনিকেতনে চালু করে সারাবিশ্বের প্রসার ঘটিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য মণিপুরী সম্প্রদায় রবীন্দ্রনাথের আগমন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শুক্রবার কমলগঞ্জের স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিনহা। সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত সিনহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন সিলেটের সিনিয়র জজ শ্যামকান্ত সিংহ, পৌরি সম্পাদক সুশীল কুমার সিংহ, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমীর গবেষণা কর্মকর্তা প্রবাস সিংহ, মণিপুরী যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রদীপ সিংহ, শহীদ গিরিন্দ্র সিংহ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি উপেন্দ্র সিংহ, মণিপুরী সমাজ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শান্তুমনি সিংহ, কোষাধ্যÿ পুলিন কুমার সিংহ, সহসাধারণ সম্পাদক রবি সিংহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ভার্চুয়াল আলোচনায় ভারতের আগরতলা, কলকাতা, গৌহাটি, ত্রিপুরা, আসাম সহ বিভিন্ন রাজ্যের মণিপুরী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ভার্চুয়াল আলোচনা শেষে মণিপুরী নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় নৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বহুমাত্রিক.কম