সড়ক ও জনপথ বিভাগের অব্যবস্থাপনায় নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজ পাড় হতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পুরো শরীর ঝলসে যাওয়া ইমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ইমনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছে তার বাবা আব্দুল গফুর।এর আগে, গত রোববার সন্ধ্যায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বারইপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজে বিদ্যুৎপৃষ্টে শরীরের ৯০ শতাংশ ঝলসে যায় ইমনের। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে গত চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার সকালে মরাই গেল ইমন।
নিহত জুনায়েদ আহম্মেদ ইমন আশুলিয়ার বারইপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। সে অঞ্জনা মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। গত মঙ্গলবার জুনায়েদের শেষ পরীক্ষা ছিলো।
নিহত জুনায়েদ হোসেন ইমনের বাবা গফুর হোসেন জানান, রোববার রাতে জুনায়েদ বারইপাড়া পশ্চিমপাড়া থেকে পূর্বপাড়া যাচ্ছিল। এসময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের উপর নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হতে গেলে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগের সঙ্গে স্পর্শ লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় জুনায়েদ। পরে স্থানীয়রা রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠায়। চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে আজ সকাল ১০ টার দিকে মৃত্যু হয় ইমনের।
কান্না জরিত কন্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলে টাকে আর বাঁচানো গেলো না। চারদিন হাসপাতালে কত না কষ্ট করলো আমার ছেলেটা। কিছু খেতে পারতো না শুধু পানি খেয়ে রাখা হয়েছিলো তাকে।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজ তৈরির পর বিদ্যুৎ সরবরাহের তার রেখে দেওয়ায় আজ আমার ছেলের এ অবস্থা। আমি এর বিচার চাই। আমার ছেলের মত যেনো আর কারো ছেলের এমন হয়। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় ৪ জনের নামে একটি মামলাও করছেন বলে জানান তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল থেকে আশুলিয়ায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
বহুমাত্রিক.কম