ফাইল ছবি
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ পরিচালনার ধরণকে ‘নীতিগত ভুল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে বিশ্বাস করার মতো শক্তিশালী কারণ রয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, বুধবার নিউইয়র্কে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের নেক্সট সম্মেলনে সম্পাদক-প্রধান আলেসান্দ্রা গালোনির সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন গুতেরেস। সেখানে তিনি বলেন, নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু এবং গাজা ধ্বংসের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবহেলা রেখে যে অভিযান পরিচালিত হয়েছে, তাতে মৌলিকভাবে ভুল রয়েছে। তিনি আরও বলেন, লক্ষ্য ছিল হামাসকে ধ্বংস করা। গাজা ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু হামাস এখনও ধ্বংস হয়নি। তাই এই অভিযান পরিচালনার পদ্ধতি মৌলিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতে ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করেছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, এটা বাস্তব হতে পারে বলে বিশ্বাস করার শক্তিশালী কারণ রয়েছে।
গুতেরেসের মন্তব্যের জবাবে জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন অভিযোগ করেন, মহাসচিব তার উচ্চপদস্থ অবস্থান ব্যবহার করে প্রতিটি সুযোগে ইসরাইলের নিন্দা করছেন। তিনি আরও বলেন, যে একমাত্র অপরাধটি ঘটেছে, তা হলো- ৭ অক্টোবরের নৃশংস হামলার দুই বছরেরও বেশি সময় পরও জাতিসংঘ মহাসচিব ইসরাইল সফর করেননি।
গাজার কর্তৃপক্ষের হিসেবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সেদিন হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ইসরাইলে ১২০০ জন নিহতএবং ২৫১ জন আটক হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে ইসরাইলি বাহিনী বারবার হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এই যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে বলে অভিযোগ গাজার প্রশাসনের। বুধবারের সর্বশেষ হামলায় সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই শিশু। গাজার কর্মকর্তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ৫৯১ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এতে অন্তত ৩৬০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯২২ জন আহত হয়েছেন।




