ছবি : বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। এরই মধ্যে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়ছেন সারাদেশের প্রার্থীরা। প্রার্থী নিজের অবস্থান জানান দিতে দলের অবস্থা তুলে ধরে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেহেতু দলভিত্তিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেক্ষেত্রে দলের নির্বাচনী ইশতেহাওে দেশের উন্নয়নের কথাসহ সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হয়। তারপরও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নিজেরাও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বর্তমানে ভোটররাও অনেক সচেতন। তারও প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি বিশ্লেষনের পাশাপাশি ব্যক্তি ইমেজের পাশাপাশি দেশেন উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, নারীদেও শিক্ষা, কর্মস্থলসহ চলাচলের পথে সার্বিক নিরাপত্তা প্রত্যাশা করেন। আর এ সকল বিষয় নিয়ে কথা বলা হয় কয়েকজন নারী ভোটারের সাথে। এ বিষয়ে তারা যা বলেছেন
সরকারী ব্রজলাল কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনূভা বসু বলেন নির্বাচন যদিও একটি সমষ্টিগত ব্যাপার কিন্তু অন্যদের ব্যক্তিগত পছন্দের উপর আমি কোন মত প্রকাশ করতে পারি না। আর বর্তমানের তরুণ প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন। সুতরাং আমি মনে করি তারা ভোট দানের ক্ষেত্রে ভেবে চিনতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন যে তারা কাকে মনোনিত করবেন। তবে আসন্ন নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ- এমন বিশ্বাস নিয়ে বসে আছে দেশের জনগণ। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রকৃতই ভয় কাজ করছে সবার মাঝে। নির্বাচনের আগে কেমন যেন দেশের পরিবেশটা ভারী হয়ে আছে। সে ভয় উতরে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক, এটা সবার প্রত্যাশা।
ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিউটিশিয়ান মারিয়া আফরিন পায়েল বলেন আমরা চাই না, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক। নির্বাচনী রক্তপাত বহু দেখেছি। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগুন নিয়ে খেলা করতে দেখেছি। মানুষের পোড়া লাশ দেখেছি। আমরা চাই না, এ নির্বাচনে কোনো সরকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি ঘটুক। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতময় কোনো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, রক্তপাত যাতে না ঘটে; সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের প্রতি। নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে তিনি জানান।
সদ্য শিক্ষাজীবন শেষ করা ইয়াসমিন নাহার বলেন এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দেশের সবাই চায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। কেউ চায় না ভোটকেন্দ্রে কোনো সংঘাত হোক, কোনো রক্তপাত হোক এবং কোনোরকমের প্রাণহানি ঘটুক।
এছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনও কেউ কামনা করে না। তিনি বলেন বর্তমান সরকার ১০ বছর পার করেছে। শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকাও কম নয়। তবে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কম নয়। ভাল রেজাল্ট করেও নিয়োগ কর্তাদেও তুষ্ট করতে না পারলে চাকরী হয় না। অথচ ভাল রেজাল্ট না করেও উপরি দিয়ে অনেকেই চাকরী পাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন চাকরী দেয়ার ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে তাদের কঠোরতা অবলম্বন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। তিনি এবার নতুন ভোটার তাই ভোট নিয়ে ইয়াসমিন নাহারের উৎসাহও কম নয়।
ফাতেমা তুজ জোবাইয়া নওশীন বলেন আমরা চাই, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। জন সম্পৃক্ত প্রার্থী, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। যিনি এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। খুলনা-২ আসনের ৩০ নম্বও ওয়ার্ডেও বাসিন্দা নওশীন।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রকৃতই ভয় কাজ করছে সবার মাঝে। নির্বাচনের আগে কেমন যেন দেশের পরিবেশটা ভারী হয়ে আছে। সে ভয় উতরে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক, এটা সবার প্রত্যাশা।
বহুমাত্রিক.কম