আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ফেরার ম্যাচে জয় পেয়েছে পিএসজি। শুক্রবার দিবাগত রাতে অ্যাঞ্জার্সকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে প্যারিস জায়ান্টরা।
ফুলগিনির গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দানিলো পেরেইরার লক্ষ্যভেদে সমতায় ফেরে প্যারিসের দলটি। ম্যাচের শেষদিকে গোল করে পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
লিগে প্রথম আট রাউন্ডে জয়ের পর আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাওয়ার আগে রেঁনের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল তারকায় ঠাসা দলটি। এবার দলের সেরা দুই তারকা মেসি-নেইমারেকে ছাড়া অ্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামে পিএসজি। নিজেদের মাঠে দুই সুপারস্টারকে ছাড়াও যে পিএসজি সমীহ জাগানিয়া দল।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ থাকায় দলে ছিলেন না অনেক লাতিন তারকারা। তাদের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেন এমবাপ্পে।
দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায় অ্যাম অ্যাঞ্জার্স। মাঝমাঠে মার্কো ভেরাত্তির পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডান দিক দিয়ে আক্রমণ শানায় তারা। দারুণ এক শটে বল জালে পাঠান ফুলগিনি। ১-০ তে লিড অতিথিদের।
বিরতির আগে হেরেরা হেডে জালে বল পাঠালেও তা অফসাইড হয়। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি।
বিরতির ঠিক পরই ম্যাচে ফেরে পিএসজি। ৬৮ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে সমতা টানেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার পেরেইরা।
৮৭ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে বসে পিএসজি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান গড়ে দেন এমবাপ্পে। লিগ ওয়ানে চার ম্যাচ পর জালের দেখা পেলেন ফরাসি তারকা।
পিএসজির ১৩ শটের মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে, দুটিই গোল। আর অ্যাঞ্জার্সের সাত শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে। ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। আগামী ১৯ অক্টোবর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লাইপজিকের সঙ্গে ম্যাচের আগে এই জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস যোগাবে ফুটবলারদের।
এর আগে সবশেষ ম্যাচে গত ৩ অক্টোবর রেঁনের বিপক্ষে ম্যাচে মেসি-নেইমার এবং এমবাপ্পেকে নিয়েও হারে পিএসজি। এদিন ভাগ্য একদমই পাশে ছিল না পিএসজির। তাই তো দ্বিতীয়ার্ধে বল জালে জড়ালেও, সেটি বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। দুইবার এমন ভাগ্য বিড়ম্বনার ম্যাচে আর গোল করতে পারেনি পিএসজি। তবে বসে থাকেনি প্রতিপক্ষ। দুই অর্ধে দুই গোল করে হারিয়ে দিয়েছে তারকাবহুল পিএসজিকে।
বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে নোঙর করার পর প্রথম দিকে গোলের দেখা না পেলেও এখনো পর্যন্ত পরাজয়ের দেখা পেতে হয়নি মেসিকে। রেনেঁর বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে পিএসজির জার্সিতে প্রথম হারও দেখে ফেলেন তিনি