বাফুফে ভবন সংস্কার ও শোভাবর্ধনের জন্য এএফসির কাছ থেকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা পাচ্ছে বাফুফে। ইতোমধ্যে এশিয়ান ফুটবল কাউন্সিলে অনুমোদন পেয়েছে বাফুফের আবেদন। আগামী বছর জুন মাস নাগাদ এই অর্থ বাফুফের হাতে এসে পৌঁছবে বলে নিশ্চিত করেছেন, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। এ ছাড়া চলতি মাসেই নিশ্চিত হবে জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যবারেরার সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি।
স্বাধীনতা কাপের কিক অফ বাঁশি দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু। বেড়েছে দল, ম্যাচ আর টুর্নামেন্ট। কাজী সালাহউদ্দিনের মেয়াদকালে এবারই সর্বোচ্চ ব্যস্ত সূচি পার করবে বাফুফে। সরকারে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ডিপিপি দিয়ে ঢেলে সাজানোর হবে দেশের ফুটবলকে। যার কারণে বাড়বে ফুটবলীয় কার্যক্রম, একাডেমি সংখ্যা আর ফুটবলারদের সংখ্যাও।
সবকিছু বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়াতে হবে বাফুফের লোকবল, কোচিং স্টাফ আর সাপোর্টিং বিভাগও। আপাতত বাফুফে ভবন সম্প্রসারণ নয়, সাজানো হবে সুচারুভাবে। যার জন্য ইতোমধ্যে এএফসির কাছে অর্থের আবেদন করেছে সংস্থাটি। যার পরিমাণ প্রায় ৮০ লাখ টাকা। যেটি অনুমোদনও পেয়েছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে এই অর্থ এসে পৌঁছতে পারে বাফুফের হাতে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, `ভালো প্রেস মিটের একটা জায়গা আমরা করতে চাই। আমাদের বাফুফে ভবনেও কিন্তু উন্নতি করার অবকাশ রয়েছে। ফলে সে জিনিসগুলো আমরা করব। এএফসির কাছ থেকে আমরা প্রায় ৮০ লাখ টাকা পাচ্ছি। তো এই টাকা দিয়েও ভালো কিছু করা সম্ভব।`
নারী ফুটবল একাডেমির মতো ছেলেদের এলিট একাডেমির ফুটবলারদের পারিশ্রমিক বাড়ানো হবে শিগগিরই। জাতীয় দলের হেড কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে কিনা। তা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে এই মাসেই।
সোহাগ বলেন, `মেয়েদের একাডেমিতে আমরা তাদের যে সম্মানীটা দেই তার প্রায় অর্ধেক দেয়া হয় ছেলেদের। তো ছেলেদের সম্মানীটা বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি।`
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ১৯ নভেম্বর দেশ ছাড়ছেন কাজী সালাহউদ্দিন।