ছবি : বহুমাত্রিক.কম
কুষ্টিয়া : জাতীয় পার্টির কুষ্টিয়া শহর কমিটির সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম মতিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মান্নানসহ কমিটির সকল সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ করেছে।
নবগঠিত জেলা কমিটির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে সোমবার সন্ধ্যায় তারা পদত্যাগ করেন। মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের কাছে পদত্যাগপত্র ডাকযোগে প্রদান করবেন বলে জানান তারা।
পদত্যাগ করার কারন সম্পর্কে বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির কুষ্টিয়া শহর কমিটির সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম মতিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মান্নান জানান, কুষ্টিয়া একটি বৃহত্তর জেলা। এ জেলায় এসএম আজিজুল হক, এ্যাড. আজগর আলী, আহসান হাবীব লিংকন, মরহুম কোরবান আলী, এ্যাড. বদরুদ্দোজা গামা, জাফর উল্লাহ খান চৌধুরী লাহড়ী, কাজী আব্দুর রাজ্জাক ও এ্যাড. মিয়া মোহাম্মদ রেজাউল হকের মতো বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখনো সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ীক নেতাসহ অনেক যোগ্য রাজনৈতিক কর্মীও এ দলে সক্রিয় রয়েছেন।
পদত্যাগকারী নেতারা জানান, গত ২৭শে নভেম্বর তারিখে স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নবগঠিত কমিটির সংবাদ আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। পত্রিকার সংবাদে আমরা জানতে পারি, নাফিজ আহমেদ খান টিটুকে সভাপতি করা হয়েছে। যিনি কিছুদিন আগে জাতীয় পার্টি ছেড়ে স্বার্থের লোভে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং বর্তমানেও ঢাকার এক বিএনপির নেতার বাড়ীতে কর্মরত রয়েছে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার জামিল জুয়েলকে কখনো জেলা নেতৃবৃন্দ তাকে দেখেনি। এমনকি জেলা জাতীয় পার্টির কোন সদস্যপদেও তার নাম ছিলো না। শুধু তাই নয়, জেলা কমিটিতে এ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন সেনাকে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে স্থানীয় পত্রিকাতে আলোচিত নারী কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশ হয় এবং তার নামে মামলাও হয়। এঘটনায় সে বেশ কিছুদিন পলাতক ছিলেন। আমাদের ধারনা, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সুমন আশরাফ ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করতেই এসমস্ত বিতর্কিত ও অযোগ্য ব্যাক্তিদেরকে নিয়েই জেলা কমিটি গঠন করতে কেন্দ্রীয় নেতৃৃবৃন্দকে প্রভাবিত করেছে। এসব কারনেই আমরা শহর জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী পদত্যাগ করছি।
বহুমাত্রিক.কম
