Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

ভাদ্র ১৭ ১৪৩২, মঙ্গলবার ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসক’র ‘স্পিক আপ’ প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: 

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রিন্ট:

আসক’র ‘স্পিক আপ’ প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

আইনগত সহায়তা প্রদানকারী ও মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর আওতায় গাজীপুরে চলমান কার্যক্রম নিয়ে ‘স্পিক আপ! এম্পাওয়ারিং সিএসওস টু প্রোটেক্ট চিলড্রেন এন্ড ইয়ুথ ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন বাই কেপিটালাইজিং অন অপারচুনেটিস এন্ড এড্রেসিং দ্যা চ্যালেঞ্জ অফ দ্যা ডিজিটাল স্পেস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসক এ প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খায়ের, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল রানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা), টেরে ডেস হোমস -এর প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মাইকেল মন্ডল প্রমুখ।

প্রকল্প বিষয়ক উপস্থাপনায় স্পিক আপ প্রকল্প সমন্বয়ক আসমা খানম রুবা জানান, মানবাধিকার আন্দোলনের চেতনা থেকে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবধি বিনামূল্যে আইনগত সহায়তার পাশাপাশি মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে চলেছে।

তিনি জানান, শিশু ও যুবাদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ, সুরক্ষা এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন সহ ডিজিটাল মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রদানে সক্ষমতা তৈরীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর ওয়ার্ড নং ৩৩ ও ওয়ার্ড নং ৩৪, গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানা এলাকাসহ পিরোজালী, বাড়ীয়া, ভাওয়াল গড় ও মির্জাপুর ইউনিয়ন এলাকায় এই প্রকল্প কার্যক্রম চলমান।

প্রকল্পের সময়কাল মার্চ ২০১৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। অর্থ সহায়তায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ), কারিগরি সহায়তায় টেরে ডেস হোমস (টিডিএইচএমএল) এবং কৌশলগত বাস্তবায়নকারী আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং সহযোগি সংস্থা ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স (বিটিএস) ও ইনসিডিন বাংলাদেশ।

প্রকল্পের লক্ষ্য বর্ণনা করে সংস্থাটির এই কর্মকর্তা জানান, শিশুদের বাণিজ্যিক যৌন শোষণ, ঝুঁকিতে থাকা শিশু এবং ভুক্তভোগী শিশুদের নিজেদের এবং তাদের সমবয়সীদের সুরক্ষায় কথা বলাার এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য ক্ষমতায়ন করা।

প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য: এই প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হল সিভিল সোসাইটি (নারী, যুবা ও শিশু অধিকার সহ) অর্গানাইজেশনসমূহকে মেয়ে ছেলে এবং লিঙ্গ বৈচিত্রপূর্ণ শিশু ও যুবাদের অধিকার সুরক্ষার অন্য ক্ষমতায়িত করা, যাতে জনসাধারণের আলোচনা এবং ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায়।

লক্ষিত জনগোষ্ঠী: স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের কর্মী, শিশু এবং যুবা, পরিবার এবং কমিউনিটির জনগোষ্ঠী, সরকারী প্রতিনিধি, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার বোর্ড, কমিউনিটি ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটি ও জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির সদস্য, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান  এর প্রতিনিধি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধি, মিডিয়ার প্রতিনিধি।

প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী: প্রকল্পের ৪টি কর্ম এলাকায় (ঢাকা, গাজীপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট) মানবাধিকার এবং শিশু ও যুবাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ৫০টি সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের ১৮০ জন সদস্য এবং, ২০০০ শিশু ও যুবা (১৫০০ শিশু ও ৫০০ যুবা)।

প্রকল্পের কৌশলগত কার্যপদ্ধতি: সিএসও সক্ষমতা জোরদারকরণ, অন্তর্ভুক্তিকরণ, অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ, নীতি বিশ্লেষণ এবং এ্যাডভোকেসি, স্থানীয় ও জাতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ।

কর্মশালা আয়োজনে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন আসকের শ্যমলী আক্তার, মোঃ মহসীন আলী, সেলিনা আক্তার ও  সিলচী মৃ।

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables