
ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মস্কো থেকে আর তেল কেনবে না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে যে আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথাই হয়নি।
এদিন নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘জ্বালানি ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য ইস্যু আমরা এরইমধ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছি। যা আপনি উল্লেখ করতে পারেন। আর টেলিফোনে কথোপকথনের বিষয়ে আমি বলতে পারি বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কোনো কথাই হয়নি।’
তবে গত ৯ অক্টোবর দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ফোনে কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রণধীর। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, গত ৯ অক্টোবরের ফোনালাপের সময়ে গাজা শান্তিচুক্তির সাফল্যের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি। বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা কী অবস্থায় রয়েছে, তাও পর্যালোচনা করেন তারা। উভয়েই এ বিষয়ে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে সম্মত হন।
এর আগে এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারত তেল ও গ্যাসের গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারক দেশ। অস্থির জ্বালানি বাজারের এই পরিস্থিতিতে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করাই ভারতের সব সময় অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতিগুলো সম্পূর্ণরূপে এই উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, স্থিতিশীল জ্বালানির দাম ও নিরাপত্তা সরবরাহ নিশ্চিত করা আমাদের জ্বালানি নীতির দুটি প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের জ্বালানি উৎস্যের বৈচিত্র আনা এবং বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী জ্বালানি সংগ্রহের পরিসর বাড়ানো।
বিবৃতিতে জয়সওয়াল তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কথা বলতে গেলে, আমরা বহু বছর ধরে আমাদের জ্বালানি ক্রয় সম্প্রসারণের চেষ্টা করে আসছি। গত দশকে এটি ধারাবাহিকভাবে এগিয়েছে। বর্তমান প্রশাসন ভারতের সাথে জ্বালানি সহযোগিতা আরও গভীর করার আগ্রহ দেখিয়েছে, এখনো এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।
বুধবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনায় আমি খুশি ছিলাম না। মোদি আজ আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন আমরা চীনকেও একই কাজ করতে বাধ্য করব।’