মৌলভীবাজার: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের(কোভিড-১৯) প্রাদূর্ভাবে সৃষ্ঠ মহামারি মোকাবেলায় সরকার গত ২৬ মার্চ হতে ১০ দিনের জন্য সরকারি, বেসরকারি অফিস-আদালত, মার্কেট-দোকানপাট, গণপরিবহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
সরকারি এই নির্দেশনা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় কমলগঞ্জ উপজেলা সকল স’মিল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক স’ মিল শ্রমিক বেকার হয়ে যাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স’মিল শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহ কোন রকমে ধার দেনা করে চলতে পারলেও বর্তমানে আর কোনভাবেই দিনাতিপাত করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি বন্ধ ঘোষণার সাথে সাথেই এলাকার উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনসাধারণ হুমড়ি খেয়ে বাজারে এক-দুই মাসের নিত্যপণ্য কিনে রাখেন। যার প্রভাবে একদিকে যেমন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তেমননি আগে যে পরিচিত দোকান থেকে বাকি সিকি কিনে চলতে পারছিলাম বর্তমানে সেই দোকান থেকে বাকিসিকিও মিলছে না।
তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে উপজেলার প্রায় দু’শ স’মিল শ্রমিক অভাব অনটনে দিনাতিপাত করছেন। স’মিল শ্রমিকদের বর্তমান দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে কোন রকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিতে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।
বহুমাত্রিক.কম