ঢাকা : নিজের মোটরসাইকেলের সঙ্গে সামন্য ধাক্কা লাগায় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও এর আরোহীদের মারধর করেছেন পুলিশের চ্যান্সেরি বিভাগের কনস্টেবল আরিফ।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে ব্যস্ততম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ দুই পক্ষকে মোহাম্মদপুর থানা নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কার্ডিওলজি রেজিস্টার ডা. সাবরিনার ছেলে রাগীব মোহাম্মদ তার তিন বন্ধুকে নিয়ে একটি প্রাইভেট কারে চড়ে বনানী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শ্যামলীর মোড়ে রাগীবের গাড়ির সঙ্গে কনস্টেবল আরিফের মোটরসাইকেলে হালকা ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে কনস্টেবল আরিফ তার হেলমেট দিয়ে রাগীবের প্রাইভেটকারের সামনে ও পেছনের কাচ ভাঙচুর করেন। এরপর রাগীবের দুই বন্ধু নাহিন আর মাহাদিকেও মারধর করেন আরিফ। এ সময় আশপাশের লোকজন কনস্টেবল আরিফকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তার তাদেরকে মোহাম্মদপুর থানা নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা হঠাৎ দেখি সাদা পোশাকের একজন পুলিশ হেলমেট দিয়ে প্রাইভেটকারের সামনে ও পিছনে কাঁচ ভাঙচুর করে। পরে ওই পুলিশ সদস্য প্রাইভেটকার থেকে বের করে এক যুবককে মারধর করছে। সবাই মিলে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধরের কারণ জানতে চায়। এতে ওই পুলিশ সদস্যকে উত্তেজিত হয়ে তাদের দিকে তেড়ে আসেন। এ কারণে সাধারণ মানুষ তাকে ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে ওই কনস্টেবলকে সরিয়ে নেন।
মোহাম্মদপুর থানা ডিউটি অফিসার এসআই মিজান জানান, দুই পক্ষই সমঝোতায় বসতে চায়। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আমরা তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো।
বহুমাত্রিক.কম