ছবি : বহুমাত্রিক.কম
যশোর : যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার বিইপি ও হারনিয়া রোগী শামসুল হককে অপারেশনের সকল ওষুধ ক্রয় করার পর অপারেশন না করে রোগীকে ঢাকায় রেফার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সার্জারি বিভাগের ডাক্তার অজয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একই অভিযোগ উঠেছিল। ডাক্তারের এ আচারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে রোগীর স্বজনরা ছাত্রপত্র ছাড়াই বাড়িতে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি সোমবার সকালে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ-২ এ ঘটে। শামসুল হক যশোর শহরের আরবপুর এলাকার মৃত করিম বক্সের ছেলে।
রোগীর ছেলে আজিজুল ইসলাম হাসপাতালে জানান, তার পিতা হারনিয়া এবং বিইপি রোগে আক্রান্ত হলে গত ৮ নভেম্বর যশোর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের ডাক্তার অজয় কুমার সরকারকে দেখানো হয়। তিনি শামসুল হককে দেখে হাসপাতালে ভর্তি এবং অপারেশন করার পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক ওই দিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার রেজি: নম্বর ৪৮৪৪৮/১৭) এরপর ডাক্তার অজয় কুমার সরকার ১৪ নভেম্বর অপারেশন করবেন বলে সকল প্রকার ওষুধ কেনার পরামর্শ দেন।
শামসুল হকের স্বজনরা অপারেশনের সকল ওষুধ কিনে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। এসময় ডাক্তার অপারেশন না করে ১৮ নভেম্বর অপারেশন করার পরামর্শ দিয়ে শামসুল হককে বেডে পাঠিয়ে দেন। এরপর ১৮ নভেম্বর আসার আগেই ২২ ডিসেম্বর অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
নির্ধারিত ২২ নিভেম্বর আসার আগেই সোমবার সকালে শামসুল হককে ঢাকায় রেফার করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হন শামসুল হকের স্বজনরা। তারা সকালেই ছাড়পত্র না নিয়ে তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান। ক্ষুদ্ধ আজিজুল হক বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক অপারেশনের সকল ওষুধপত্র কেনা হয়েছে। এখন ১৩ দিন পর তাকে ঢাকায় রেফার করেছে। সেটা সত্যিই অমানবিক।
সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অজয় কুমার সরকার বলেন, এ ধরণের দুটো রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। যার ফলাফল ভাল হয়নি। যার কারণে মেশিনের সাহায্যে অপারেশন করার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার একেএম কামরুল ইসলাম বেণু বলেন, এই রোগীর বিষয়ে আমার জানা নেই। সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের সাথে আলাপ করে বিষয়টি জানাতো পারবো।
বহুমাত্রিক.কম