ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা : অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কৌশল বন্ধ করতে রাজধানীতে গণপরিবহনগুলোর সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন যাত্রীরা।
তারা বলছেন, সার্বিক দিক চিন্তা না করে এভাবে সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা হলে গণপরিবহনে চলাচলে নুন্যতম যে নির্ভরতাটুকু ছিল তাও থাকবে না। বিশেষ করে কর্মজীবীরা এ সিদ্ধান্তের ফলে দারুণ বিপাকে পড়েছেন।
গণপরিবহনগুলোর সিটিং সার্ভিস বন্ধে মালিক সমিতির পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত শনিবার থেকে কার্যকর হওয়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এই ক্ষোভের কথা জানা গেছে।
মিরপুর থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল কাদির খান বহুমাত্রিক.কম-কে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘সিটিং সার্ভিসগুলোকে জোরদার মনিটরিংয়ে এনে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করা যেতে পারতো। কিন্তু এভাবে হুট করে সিটিং সার্ভিস উঠিয়ে দেওয়ায় আমাদের মত কর্মজীবী মানুষদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।’
‘রাজধানীর তীব্র যানজটের বাস্তবাতায় আমরা যখন ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় বাসে থাকি, ভোরে রওনা করেও ঠিক মত অফিসে পৌছাতে পারি না-সেখানে সিটিং সার্ভিস উঠে গেলে শেষ ভরসাটুকুও খাকবে না। বলতে পারেন মন্দের ভালোটুকুও থাকলো না’-যোগ করেন এই ব্যাংক কর্মকর্তা।
ধানমন্ডি থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করা সজীব আহমেদ বলেন, ‘সরকার যদি যাত্রী হয়রানি বন্ধই করতে চায় তাহলে সিটিং সার্ভিগুলোকে মনিটরিংয়ে আরও জনবল বাড়াতে পারে। এভাবে সার্ভিস বন্ধ করলে আমাদের কোনো সুবিধাই হবে না। বরং সেইসব সিটিং সার্ভিসে আগের মতই ভাড়া আদায় করবে, বাস বোঝাই করে যাত্রীও তুলবে-ভোগান্তি ডাবল হবে।’
যাত্রীদের এই ক্ষোভের সঙ্গে একমত অনেক পরিবহন মালিকও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন মালিক বহুমাত্রিক.কম-কে বলেন, ‘সিটিং সার্ভিস বন্ধের কোনো সুফল যাত্রীরা পাবে মনে মনে হচ্ছে না। পরিবহন নেতৃবৃন্দ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি নিয়ে আরও চিন্তা করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি ও হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। বাসের সংখ্যা বৃদ্ধিও এ ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে। সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলে গণপরিবহনে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। দেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো যেখানে এত উন্নত করছে সরকার-সেখানে যাত্রীরা তাদের চাহিদা মত চলাচল করতে না পারে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ দেখা দিবে।’
বহুমাত্রিক.কম