নওগাঁ : নওগাঁ পাউবো বিভাগের কর্মচারীগণ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং লাঞ্ছিত করায় তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি থেকে তদন্ত শুরু হয়।
ঢাকা বাপাউবো শৃংঙ্খলা পরিদপ্তর পরিচালক একেএম নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত গত ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দপ্তরাদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। বিষয়টি রংপুর পওর সার্কেল-১ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে ২১দিনের মধ্যে দপ্তরে দুই প্রস্থে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর কক্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং শাখা কর্মকর্তাগণ দাপ্তরিক বিভিন্ন প্রকার কাজ নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় পওর বিভাগের (১) নকশাকার বিপুল চন্দ্র সিকদার, (২) অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক বিমলেন্দু দেব, (৩) সার্ভেয়ার (ইঞ্জিঃ) আব্দুল মোমিন, কার্য-সহকারী- (৪) লিয়াকত আলী, (৫) হাবিবুর রহমান, (৬) মোখলেছুর রহমান, (৭) সত্যজিত হাওলাদার ও (৮) নয়ন কুমার সরকার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর কক্ষে প্রবেশ করে।
কার্য-সহকারীগণ তাদের বসার জন্য টেবিল, চেয়ার ও অবৈধ আর্থিক সুবিধাসহ নানাবিধ সুবিধা দাবি করেন। কথপোকথনের এক পর্যায়ে নকশাকার বিপুল চন্দ্র সিকদার ও কার্য-সহকারী লিয়াকত আলীর প্রত্যক্ষ ইন্দনে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং শাখা কর্মকর্তাগণকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, অশোভন আচরণসহ শারীরিকভাবে লঞ্ছিত করেন এবং নানা রকম হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় দপ্তরে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ এবং দাপ্তরিক কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে অন্তরায় সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক ও নকশাকার বিপুল চন্দ্র সিকদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।
নওগাঁ পউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা অভ্যন্তরীন বিষয়। তবে তদন্ত এগিয়ে চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, সরেজমিনে নওগাঁতে গিয়েছিলাম। তদন্তের জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তদন্তের রিপোর্ট শিগগিরই দাখিলও করব।
বহুমাত্রিক.কম