
ফাইল ছবি
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একের পর এক দুঃসংবাদ পাচ্ছেন দগ্ধদের স্বজনরা। আজ সকালে দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থী জারিফের (১৩) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩৪ জন।
জারিফের মরদেহ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানা গেছে।
গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আছড়ে পড়ে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এর আগে দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকীর ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার সে চেষ্টা সফল হয়নি, বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা স্কুল ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে হতাহতদের দ্রুত কাছের কয়েকটি হাসপাতালে নেন। গতকাল পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় বিমানটির পাইলটসহ ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছিলেন দেড় শতাধিক শিশুশিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক। হতাহতের অধিকাংশই শিশুশিক্ষার্থী। এখনো রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫০ জন।
আহতদের চিকিৎসায় চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের মেডিকেল দল বাংলাদেশে এসেছে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে আহদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তারা।
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ওইদিনই উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। যে কমিটি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবেদন তৈরি কবে। এদিকে সরকার জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং বিমান-সম্পর্কিত দুর্যোগ শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।