
ছবি- সংগৃহীত
রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত গ্রন্থ প্রকাশ ও আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘রাতারাতি আমরা সবকিছুকে বদলে ফেলতে পারবো না। গণতন্ত্রকে তার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলতে দিতে হবে। উত্থান পতন থাকবে। কিন্তু চলতে দিতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে ভিশন ২০৩০ করতে চাই। আন্দোলন চলাকালে রাষ্ট্র গঠনের ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা এভাবে এগোনোর চেষ্টা করছি।’
এ সময় বর্তমান রাষ্ট্রকাঠামো আর অর্থনৈতিক কাঠামোর গুণগত পরিবর্তন দরকার বলেও উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটা বড় বিষয়। আমাদের তখনকার অনেক আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা পূরণ হয়নি। গণতন্ত্র সঠিকভাবে চলতে পারেনি। চলতে দেয়া হয়নি।’
গেল ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র কথাটাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। আমাদের নেতাকর্মীরা গুম হন। এভাবেই রাজনীতির কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।’
দেশবাসীকে হতাশ হওয়ার খুব বেশি কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কথা আসছে। এই মাধ্যম সমাজকে গ্রাস করে ফেলছে। মব তৈরি হচ্ছে এর মাধ্যমে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক বাংলাদেশকে বড় ধরনের বিপদে ফেলতে যাচ্ছে। যা উত্তোরণে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিশেষভাবে আলোচনা করা দরকার।’