Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১৫ ১৪৩১, সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪

জাহাজ থেকে চলে যাওয়ার আগে ক্যাপ্টেনকে যে চিঠি দেন জলদস্যুপ্রধান

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রিন্ট:

জাহাজ থেকে চলে যাওয়ার আগে ক্যাপ্টেনকে যে চিঠি দেন জলদস্যুপ্রধান

ফাইল ছবি

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক মুক্তি পেয়েছেন। বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে জাহাজটি দস্যুমুক্ত হয়।

জাহাজটি থেকে নেমে যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেনকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের প্রধান একটি চিঠি দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান কেএসআরএমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম।

চিঠির বিষয়ে জানাতে গিয়ে রোববার এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘শনিবার সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে একে একে নেমে গেছে দস্যুরা। তখন জাহাজটির ৬৫ জন দস্যু নেমে বোট নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে দস্যুদের প্রধান জাহাজের ক্যাপ্টেনকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেয়। সোমালিয়ান ভাষায় তাতে লেখা, “আপনারা এখন নিরাপদ। দুবাই পর্যন্ত আপনারা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারবেন। নতুন করে আর দস্যুদের কবলে পড়তে হবে না। পড়লেও এ চিঠি দেখালে তারা ছেড়ে দেবে”।’

জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ দুবাই যাবে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা স্বজনদের কাছে ফিরবেন।

মিজানুল ইসলাম আরও জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করেছে তারা। ১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer