ঢাকা : গরমকালে খাবারদাবার তো বটেই, জামাকাপড়-বিছানাপত্রেও পিঁপড়ার আক্রমণ ঘটে। খাবার জিনিসপত্র, শোবার জায়গা বা জামাকাপড়ের উপর পোকা মারার ওষুধ ছড়ালে তার ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে। তার চেয়ে এমন কয়েকটি টোটকা ট্রাই করে দেখুন যা আপনার হাতের কাছেই মজুত রয়েছে এবং কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ারও বিন্দুমাত্র আশঙ্কা নেই।
চলুন দেখে নিই কিছু ঘরোয়া সমাধান:
দারচিনি: আপনি যে ক্যাবিনেটে খাবার রাখেন, তার মধ্যে এবং আশপাশে খানিকটা দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে রেখে দিন। টেবিলে খাবার বা ফল রাখলেও তার চারপাশে দারচিনির পাউডার ছড়িয়ে রাখুন, পিঁপড়া আসবে না৷ দারচিনির এসেনশিয়াল অয়েলও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, তার কয়েক ফোঁটা তুলায় নিয়েও ফ্রিজে বা খাবারের ক্যাবিনেটে রাখতে পারেন।
লেবুর রস: ঘর মোছার পানির বালতিতে সরাসরি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। বেশি করে মেশাবেন, বেশি পাতলা হয়ে গেলে লেবুর গন্ধটা থাকবে না। লেবুর গন্ধে পিঁপড়ারা আর খাবারের গন্ধ পায় না। ফ্রিজেও যদি পিঁপড়ার আনাগোনা থাকে, তা হলে সেখানেও লেবুর রস প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। সমান পরিমাণ লেবুর রস আর পানি মিশিয়ে আপনার নিজস্ব স্প্রে তৈরি করে নিন। বিছানার ভাঁজেও প্রয়োগ করতে পারেন, তবে অতিরিক্ত মাত্রায় নয়, তা হলে চটচটে লাগতে পারে।
শুকনা মরিচ: শুকনা মরিচের তীব্র ঝাঁজ নাকি পিঁপড়াদের দিগভ্রান্ত করে দেয়, তারা আর বাসায় ফিরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পায় না। রান্নাঘরে বা ক্যাবিনেটে যদি পিঁপড়ের আক্রমণ বাড়ে, তা হলে গোটা শুকনা মরিচ রেখে দিন। তাওয়ায় তেল ছাড়া ভেজে নেওয়া শুকনা মরিচও পিঁপড়ের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম।
পিপারমিন্ট: পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল পানিতে মিশিয়ে স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বেশ কয়েকটি পুদিনার পাতা এক গ্লাস পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিন এবং স্প্রে করুন চারদিকে। চড়া গন্ধে পিঁপড়ার দল পালাতে পথ পাবে না।
সাদা ভিনিগার: সমান পরিমাণে সাদা ভিনিগার আর পানি মিশিয়ে ভরে নিন স্প্রে মেশিনে। এই স্প্রে ছিটিয়ে দিলে পিঁপড়ার হাত থেকে তখনই মুক্তি পাবেন। তবে প্রতিবার ব্যবহারের আগে অবশ্যই একবার বোতলটা ভালো করে ঝাঁকিয়ে নেবেন।