আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ অক্টোবর জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে এ নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
এর আগে, ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে জারিকৃত একটি নোটিশও জারি করা হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবাদীদের ওই নোটিশের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যংকের গর্ভনর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট চারটি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মো. মুজাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এদিকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও এখনও প্রতিষ্ঠানটির পাশে থাকতে চাইছেন অনেকে। আজও রাসেল এবং শামীমা নাসরিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে ই-কমার্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিইসিএমএ)। সংগঠনের নেতারা বলছেন, গ্রাহক ইভ্যালিকে সময় দিলে প্রশাসন কেন দেবে না?