ছবি- সংগৃহীত
ঢাকার মোহাম্মদপুরে গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গতকাল আসামিপক্ষে যেকোনো শর্তে জামিন চেয়ে শুনানি করেন তাঁদের আইনজীবীরা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আশফাকুল হক ও তানিয়া খন্দকারের জামিন নামঞ্জুর করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আশফাকুল হক ও তানিয়া খন্দকারকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি আসামি দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম তাঁদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।পরে ওই দিন আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরের একটি ভবনে আশফাকুল ও তানিয়া দম্পতির অষ্টম তলার ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে গৃহকর্মী প্রীতি উরাং পড়ে যায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান বাসার কেয়ারটেকার। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে এ ঘটনায় প্রীতির বাবা লুকেশ উরাং মোহাম্মদপুর থানায় আশফাকুল-তানিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি আসামি দুজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন পুলিশ মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়