![‘পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর জন্য অনুরোধ করা উচিত ভারতের’ ‘পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর জন্য অনুরোধ করা উচিত ভারতের’](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/Ukraine20220331111523.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের তরফে ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করা হয়েছিল। বর্তমানে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে সামান্য হলেও কথা এগিয়েছে যুদ্ধ থামানো নিয়ে। এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার ভারতকে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিল ইউক্রেন।
বুধবার ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানান, যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চান, তবে ইউক্রেনের তরফে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হবে।
বুধবারই সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ দ্বিতীয় মাসে প্রবেশ করেছে, হাজার হাজার মানুষকে প্রাণ খুইয়ে তার মাশুল গুনতে হচ্ছে”।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলোচনায় যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যস্থতা করেন, তবে তাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে।
জবাবে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, “যদি প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ভূমিকা পালন করতে চান, তবে ইউক্রেনের তরফে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হবে। ইউক্রেন বরাবরই ভারতীয় পণ্যের বিশ্বাসযোগ্য গ্রাহক ছিল। ভারতীয় খাদ্য পণ্যের গ্যারান্টার হিসাবেও আমরা ভূমিকা পালন করেছি। আমরা বরাবরই সূর্যমুখীর তেল, দানাশস্য ও অন্যান্য পণ্য রফতানি করেছি। এতে দুই দেশই উপকৃত হয়েছে এবং সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”
ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার যে সুসম্পর্ক রয়েছে, তার সদব্যবহার করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর জন্য অনুরোধ করা উচিত। রাশিয়ায় একজনই সিদ্ধান্ত নেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাই যুদ্ধ থামানোর জন্য সরাসরি ওনার সঙ্গেই কথা বলা উচিত। গোটা বিশ্বে একমাত্র উনিই এমন ব্যক্তি, যিনি যুদ্ধ চান।”
টানা একমাস ধরে চলা যুদ্ধের পর ইউক্রেনের কী অবস্থা, তা ব্যাখ্যা দিয়ে দিমিত্রো কুলেবা জানান, দীর্ঘ একমাস ধরে ইউক্রেন ক্রমাগত রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খারকিভে রুশ সেনার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণে যে ভারতীয় পড়ুয়ার মত্যু হয়েছিল, তা নিয়েও শোক প্রকাশ করেন তিনি।
মাঝপথে ভারতীয় পড়ুয়াদের লেখাপড়া ছেড়ে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যতদিন অবধি রাশিয়া তাদের ট্য়াঙ্কার ও যুদ্ধবিমান নিয়ে হাজির হয়নি, ততদিন অবধি ইউক্রেন ভারতীয়দের কাছে নিরাপদ আশ্রয় ছিল। আমরা চাই ভারতীয় পড়ুয়ারা আবার ফিরে আসুক।”