ঢাকা : রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার নিজেই বাধা উল্লেখ করে, প্রত্যাবাসনে যারা বিরোধিতা করে রোহিঙ্গাদের উস্কে দিচ্ছেন তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, থেমে না গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও একজনও যেতে না চাওয়ায় তা ভেস্তে যায়। দ্বিতীয়বারের মতো এই উদ্যোগে যেন ঘাটতি না থাকে তাই এক হাজার ৩৩ টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয়া হলেও আবারো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মিয়ানমারের প্রতি আস্থাহীনতা ও রোহিঙ্গাদের ৫ দফা দাবি।
তবে এই বিশ্বাসের সংকট কাটাতে হবে মিয়ানমারকেই এমনটি বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া নজরে আসছে প্রত্যাবাসনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো বিভিন্ন সংগঠনও।
তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সফল না হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য বহু পক্ষীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃসংসতা শুরু হলে পরের মাসে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে, সব মিলে ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্র্রয়ে আছে।