
ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এই নির্বাচনে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ফলে কোনও ধরনের শঙ্কা কিংবা ঝুঁকি নেই।
নবমবারের মতো অনুষ্ঠেয় এই ভোট সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভোট গণনার কার্যক্রম সরাসরি দেখানোর জন্য ক্যাম্পাসের অদম্য ২৪ চত্বরে ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করার জন্য ক্যাম্পাস এলাকায় মাইকিং করে নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বহিরাগতরা ছেড়েছেন ক্যাম্পাস।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার জাকসুর ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনের মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জাকসু কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা সবার।
ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ২১টি ভোটকেন্দ্রে বুথ থাকবে ২২৪টি। ২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটকসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশের এক হাজার ২০০ সদস্য মোতায়েন থাকবে। তাদের অধিকাংশই ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
কেন্দ্রের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে প্রায় ৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ নজরদারি করা হবে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি টিম, প্রক্টরিয়াল বডি ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুরো ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করবেন। দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। জাকসুর জন্য তিন পৃষ্ঠার এবং দুটি হলের জন্য দুই পৃষ্ঠার এবং বাকি হলগুলোর জন্য এক পাতার ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রতিটি কেন্দ্রে জাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোট গ্রহণ চলবে। একজন ভোটার ভোট দেবেন ৪০টি করে; কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি, হল সংসদে ১৫টি পদে। ভোট শেষে গণনা শুরু হবে। এতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের ব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল জাতীয় কোনও পদার্থ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।