ছবি: পিআইডি
ঢাকা : খেলাপি ঋণই ব্যাংকিং খাতের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ব্যাংকাররাই ডিফল্ডার তৈরি করেন।’
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অবস্থা পর্যালোচনা: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক যখন কোনও গ্রাহককে ঋণ দেয়, তখনই তাদের সবার চিন্তা হয় যে, এই গ্রাহককে কিভাবে ডিফল্ডার বানানো যায়। তারা চান, গ্রাহক শুরুতেই ডিফল্ডার হয়ে যাক। তাহলে তিনি তাদের কব্জার মধ্যে আসবেন। এভাবে গ্রাহকদের বার বার ঋণ দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকারদের ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। গ্রাহককে ডিফল্ডার বানানোর ধারণা পরিহার করতে হবে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের চরিত্র বিবেচনা করে ঋণ দিতে হবে। কোনও ব্যাংকার যখনই ঋণ দেবেন, তখনই তাদের চিন্তা করা উচিত যে, এটা ফেরত আসবে কিনা। ব্যাংকিং খাতে সার্বিকভাবে ১০ থেকে ১১ শতাংশ খেলাপি। সেটা খারাপ না। তবে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২৭ শতাংশ খেলাপি, এটা খারাপ।’
ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মূলধন ঘাটতি। এই ঘাটতি পূরণে সরকার অর্থায়ন করে থাকে। কারণ, ব্যাংকিং সেক্টরে একটা ব্যাংক যদি লালবাতি জ্বালায়, তাহলে সেটা সেই একটা ব্যাংকের জন্য সমস্যা নয়, সেটি একটি জাতীয় সমস্যা।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো একীভূত হবেই একসময়। তবে কারও মধ্যে একীভূত হওয়ার প্রচেষ্টা থাকলে, সেটা কিভাবে করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে কাজ করব। এ জন্য আমরা একটা ফ্রেমওয়ার্ক করে দেব।’