ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করে অতিরিক্ত মুনাফা করায় দেশি-বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পর এবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) শোকজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বুধবার ডাচ্-বাংলা, সাউথইস্ট, প্রাইম, সিটি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এমডি বরাবর শোকজ লেটার পাঠানো হয়েছে। একই দিন ব্যাংকের আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ডলার বিক্রি করে অতিরিক্ত আদায় করা মুনাফা ব্যাংকের আয় হিসাবে দেখানো যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া শোকজ লেটারে মোট ১০টি বিষয়ে এমডিদের ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন কম দামে ডলার কিনে বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে, তা সাত কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এমডিদের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, `তাদের কাছে শোকজ লেটার পৌঁছেছে কি না, সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলছি না। কেবল ৬টি ব্যাংক নয়, প্রতিটি ব্যাংকই আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।`
চলতি মাসে একই ঘটনায় ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, যা ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম। এর আগে ২০০২ সালে ওম প্রকাশ আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী জালিয়াতির মাধ্যমে ৫টি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। ওই ঘটনায় একসঙ্গে পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) অপসারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
আমদানি খরচ বাড়ায় গত মে থেকে দেশে ডলারের সংকট চলছে। রফতানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে আমদানি দায় শোধ করা যাচ্ছে না। এর ফলে বেড়ে গেছে ডলারের দাম। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম গত তিন মাসে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে ওই দামে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকই ডলার বিক্রি করছে। অন্যান্য ব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে আরও বেশি দামে।