
কক্সবাজার জেলা পুলিশের বদলে বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে নব-গঠিত দুটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে ইতোমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতিও শেষ করেছে এপিবিএন। তবে অপরাধী আটকের পর মামলাসহ আইনি প্রক্রিয়া আগের মতোই থাকছে জেলা পুলিশের অধীনে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে বাংলাদেশে। নতুন পুরাতন মিলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
এরইমধ্যে রোহিঙ্গা জড়িয়ে পড়েছে হত্যা, খুন, ডাকাতি, অপহরণসহ নানা অপরাধে। এতদিন জেলা পুলিশ ক্যাম্পের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করলেও এখন তাদের বদলে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এপিবিএনকে।কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে জেলা পুলিশের কেউ নেই। তবে ভেতরে একজন প্রতিনিধি থাকবেন, মামলা তদন্তের জন্য। শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার যাবতীয় দায়িত্ব আমাদের এপিবিএনএ’র।
প্রাথমিক পর্যায়ে এপিবিএন`কে দায়িত্ব দেয়ার পর ক্যাম্প থেকে পুলিশের ৭০ শতাংশ সদস্য সরিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে এপিবিএন এর সদস্য বাড়ালে সব পুলিশ সদস্যকে ক্যাম্প থেকে সরিয়ে নেয়া হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু দ্দৌজা বলেন, ১৪ এপিবিএন উখিয়ার ক্যাম্পগুলো এবং ১৬ এপিবিএন টেকনাফের ক্যাম্পগুলো দেখবে।