Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

ভাদ্র ৩০ ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মহাদেবপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত দুই ভাই-বোন

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

মহাদেবপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত দুই ভাই-বোন

ছবি : বহুমাত্রিক.কম

নওগাঁ : বিরল রোগে আক্রান্ত একই পরিবারের চার ভাই বোনের মধ্যে দুই বছর পূর্বে কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হলেও এবার ধুঁকছেন বাকি দুই ভাই-বোন মাহমুদা খাতুন (৩০) এনামুল হক (৩৫)।

তাদের অর্থাভাবে ওষুধ খাওয়ানো ত দূরের কথা দিনেরাতে তিন বেলা খাবার দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন বিধবা মা জামিলা বেওয়া (৭৫)। ফলে বিরল রোগে আক্রান্ত দুই ভাই-বোন অনাহারে মরণ পথের যাত্রী হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

ঘটনাটি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের কানচকুড়ি গ্রামের। তাদের মা জামিলা বেওয়া বলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত আমার চার ছেলে-মেয়ে সবাই ছোট বেলায় ভাল ও সুস্থ্য ছিলো, ছেলেরা এলাকায় গেরস্তদের বাড়িতে কামলার কাজ ও করেছে। এরপরও ১৪ থেকে ১৫/১৬ বছর বয়সেই একের পর এক তারা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন। আর মেয়ে মাহমুদাকে বিয়ে দিয়ে ছিলাম বিয়ের পর সেও তার ভাইদের মত একই অবস্থায় পরিণত হওয়ায় তার স্বামীর পরিবারের লোকজন মাহমুদাকেও আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, তাদের পিতা পূর্বেই মারা যাওয়ায় আমি নিজের জায়গাঁ জমি সব বিক্রি করে চিকিৎসা করেও তাদের সুস্থ্য করে তুলতে পারিনি এমনকি আমি এলাকার বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে ও তাদের চিকিৎসা ও খাবার মুখে তুলে দিয়েছি। আর এরই মাঝেই প্রায় দুই বছর পূর্বে আমার ছেলে জাইদুল ইসলাম (৩৭) ও আইজুল হোসেনের মৃত্যু হয়।

জামিলা বেওয়া আরো জানান, বর্তমানে মেয়ে মাহমুদা খাতুন ও ছেলে এনামুল হক চলাফেরা ত দূরের কথা নড়াচড়া ও করতে পারেনা ফলে তাদেরকে রেখে আমি আর ভিক্ষা করতেও মানুষের বাড়ি যেতে পারি না। যদি কেই খুজে এসে কিছু টাকা দেন সেই টাকাই চাল-তরকারি কিনে ছেলে-মেয়ে কে খাওয়ানোর পর বাচলে আমি খাই বলেই কান্নাই ভেঙ্গে পড়েন বৃদ্ধা জামিলা বেওয়া।

সমাজের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি পরিবারটিকে খাবারের জন্য অর্থ দিয়ে বা খাবার দিয়ে সহযোগীতা করতে চাইলে সরাসরি জমিলা বেওয়া মোবাইল নম্বর ০১৭৯১৭৮০৬৭৪ নম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables