
সামরিক জোট ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে। গত মে মাস থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে অধিকাংশ সেনা দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন। এমতাবস্থায় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মৌলবাদী শক্তি তালেবান। তাদের অগ্রযাত্রা রুখতে এবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিয়েছেন আফগান নারীরা। খবর দ্য গার্ডিয়ান’র
আফগানিস্তানের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ইতিমধ্যে অস্ত্র হাতে রাস্তায় তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নারীরা। অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।আফগানিস্তানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত ক্রসিংসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অন্যতম একটি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান। বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাসহ ৩৯৮টি জেলার মধ্যে ২৫০টিই দখলে আনতে সক্ষম হয়েছে তালেবানগোষ্ঠী। শুক্রবার (৯ জুলাই) রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন তালেবান প্রতিনিধিরা।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তালেবানদের ঠেকাতে ও মৌলবাদী শাসনের অবরুদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন আফগান নারীরা। সপ্তাহের শেষ দিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ঘোর প্রদেশে শতাধিক নারী অস্ত্র উঁচিয়ে বড় ধরনের একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। এ সময় তারা তালেবানবিরোধী স্লোগান দেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে যেসব এলাকা তালেবানরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেখানে নারীসহ জনগণের শিক্ষা, চলাচল, পোশাক ও বিভিন্ন কার্যক্রমে বিধিনিষেধ জারি করেছে গোষ্ঠীটি। বিশেষ করে বোরকা ছাড়া নারীদের বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঘোরের মহিলা অধিদফতরের প্রধান হালিমা পারাশতিস বলেন, ‘কিছু নারী আছেন যারা প্রতীকী অর্থে কেবল নিরাপত্তা বাহিনীকে (আফগান সরকারি বাহিনী) অনুপ্রেরণা দিতে চান। আবার কিছু আছেন যারা যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে প্রস্তুত।’
তিনি নিজেও যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত জানিয়ে বলেন, আমিসহ কয়েকজন নারী এক মাস আগেই এ কথা গভর্নরকে জানিয়েছি। উত্তর জোজজান এলাকার এক নারী সাংবাদিক জানান, কোনো নারীই যুদ্ধ চায় না এবং তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ও সহিংসতা থেকে দূরে থাকতে চায়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি তাদের প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য করছে।