Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্কটল্যান্ড ও ব্রেক্সিট: এরপর কী হবে?

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১৬ মে ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

স্কটল্যান্ড ও ব্রেক্সিট: এরপর কী হবে?

ঢাকা : ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য ইংল্যান্ড যে বিল এনেছে সেটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে স্কটল্যান্ডের সংসদ। ওয়েস্টমিনস্টার লেজিসলেশনের বিপরীতে এই প্রথমবার নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে স্কটিশ পার্লামেন্ট।

বলা হচ্ছে যে, প্রয়োজনে স্কটল্যান্ডের উপরে আইন চাপিয়ে দেবার অধিকার আছে ইংল্যান্ডের।তবে, তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চান না।তা করা হলে রাজনৈতিকভাবে সমস্যা দেখা দেবার আশঙ্কা রয়েছে।তাই, সংকট না বাড়িয় বরং আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেবার কথা ভাবা হচ্ছে।

একদিকে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সাথে সম্পর্ক জোরালো করার কথা আবারো ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।অন্যদিকে, স্কটল্যান্ডের উপরে জোর করে আইন চাপিয়ে দেয়ার দেয়াটা সমীচীন হবে না।

তবে স্কটিশ পার্লামেন্টের ইচ্ছেকে এর আগেও উপেক্ষা করেছেন এই প্রধানমন্ত্রী।গতবছর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে দ্বিতীয় গণভোট করার জোরালো দাবী ওঠে। কিন্তু সেই দাবীকে থামিয়ে রেখেছে টেরেসা মে।

তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো গণভোট করার পক্ষে তারা সমর্থন দেবে না।

তবে, ব্রেক্সিটের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের সংসদ যে মত দিয়েছে সেটি কেবল একটি সাংবিধানিক অধিকারই নয়।

বরং ব্রেক্সিটের সাথে জড়িয়ে রয়েছে তাদের কৃষিকাজ, খাদ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার মতন বিষয়াবলীও।স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন স্বাধীন স্কটল্যান্ডের পক্ষেই জোড় দিচ্ছেন।তবে, সমস্যা হচ্ছে মিজ স্টারজনের বক্তব্য এখনো ভোটারের মনোযোগ দখল করতে পারছে না।

কিন্তু এরপরও টেরেসা মে`র জন্য মাথা ব্যথার কারণ কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। কারণ তার জন্য ব্রেক্সিট চুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

বিবিসি বাংলা 

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer