ছবি: বহুমাত্রিক.কম
সিরাজগঞ্জ : উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী কউমি জুট মিল বিগত বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেকার হয়ে পরে হাজার হাজার শ্রমিক। আলোচিত এক/এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিলটি জাতীয় জুট মিল নামে চালু করেন।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) মিলটি পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতি বছর জুলাই–আগষ্ট মাসে জাতীয় জুট মিল ৩ লাখ মণ পাট কাঁচামাল হিসেবে ক্রয় করে থাকে। তিনটি ক্যাটাগরিতে ভিন্ন দামে প্রতি মণ ১৮০০ টাকা, ১৭৫০ টাকা ও ১৭০০ টাকা দরে পাট কেনা হয়।
পাট কেনার জন্য জাতীয় জুট মিলের রয়েছে তিনটি এজেন্সি ১- মাগুরা, ২-রাজবাড়ি ও ৩-পাবনা।
এছাড়াও বিভিন্ন সরবরাহকারীর নিকট থেকেও পাট কেনা হয়ে থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীরা পাটে পানি মিশিয়ে পাটের ওজন বৃদ্ধি করে মিলের নিকট বিক্রয় করে তাই কর্তৃপক্ষ আদ্রতা সর্বোচ্চ ২১% নির্ধারণ করে দিয়েছে।
গত অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির নীট ক্ষতি ছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা এবং বর্তমানে তৈরীকৃত পণ্য অবিক্রীত অবস্থায় মজুদ রয়েছে প্রায় বিশ কোটি টাকার। এই মিলে বর্তমানে শ্রমিক সংখ্যা ৩৫০৫ জন। ৪ ঘন্টা কাজ আর ৪ ঘন্টা বিশ্রামনীতি মেনে শ্রমিকেরা কাজ করছে।
নতুন যোগদান করা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম জানান, ‘সরকারি জুট মিলের পণ্যের গুণগত মান ভালো হলেও দাম বেশী হওয়ায় ক্রেতারা অল্প দামে বেসরকারি মিলের নিকট থেকে চট ও বস্তা কিনে থাকে। কারণ বেসরকারি মিলে শ্রমিকদের মজুরিসহ অন্যান্য প্রত্যক্ষ খরচ কম।’
সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিলের পণ্য ভারত, ইরান, চায়না, ভিয়েতনাম ও সুদানে রপ্তানিসহ দেশীয় বাজারে বিক্রয় করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন, ‘ভেজা পাট না কিনলে ও খুচরা যন্ত্রপাতি যথেচ্ছা ব্যবহার, নষ্ট ও ক্রয় করা না হলে মিলটি অবশ্যই লাভবান হবে।’
শ্রমিকদের অভিযোগ, কথিত কিছু নেতা টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে আর এতে মিলের খরচ বৃদ্ধি পায়-যা লোকাসান ত্বরান্নিত করে।
বহুমাত্রিক.কম