ঢাকা : পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া এন্সিটিটিউটের ২৫ তম ব্যাচের ভিজুয়াল এনথ্রপলজি কোর্সের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ‘পরবাসী রোহিঙ্গা’ শীর্ষক ৩ দিনব্যাপী প্রদর্শনী শেষ হল সোমবার।
এদিন সমাপনী অনুষ্ঠানে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটের আলোকচিত্র বিভাগের প্রধান তানভীর মুরাদ তপু, এনথ্রপলজির শিক্ষক তাসলিমা আখতার সহ আলোকচিত্রী রাহাত এম আহমেদ, নাসিম বানু ও কে এম আসাদ ও শুভ্র কান্তি প্রদর্শনী নিয়ে কথা বলেন। এছাড়া প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
বক্তারা বলেন, নিজ দেশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা পরবাসী হয়েই ছিলেন, কখনো হয়েছেন বলির পাঠা। বাংলাদেশে এদের আগমন এবারই প্রথম নয়। ১৯৭৮ থেকেই এই আগমন শুরু এ বছরের আগস্টে আবারো সেনাবাহিনী ও অন্যান্যদের নৃশংস হামলা, ধর্ষণ আর গণহত্যা ঘটে রোহিঙ্গাদের ওপর। প্রাণ বাঁচাতে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে লাখো মানুষ আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল কক্সবাজার উখিয়া টেকনাফের দীর্ঘ এলাকা জুড়ে।
পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটের ২৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ঘটনার পরপরই শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়ে রোহিঙ্গাদের ছবি তোলেন এবং পরিকল্পনা করেন তাঁদের কাজ এবং পাঠশালার আরো আলোকচিত্রীদের ছবি দিয়ে একটি প্রদর্শনী আয়োজনের। প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তাঁদের গবেষণার কাজ এবং রোহিঙ্গাদের সমস্যা সংকটের প্রশ্নটিকে বোঝার চেষ্টা।
এই বোঝা পড়ার অংশ হিসাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া গৃহহারা রোহিঙ্গাদের জীবন সংগ্রামের কিছু চিত্র ও খবর নিয়ে ২৫ তম ব্যাচের ভিজুয়্যাল এনথ্রপলজি কোসের্র শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছে ‘পরবাসী রোহিঙ্গা’ প্রদর্শনীটি।
তাসলিমা আখতারের কিউরেটিং এ এই প্রদর্শনীতে আছে মোট ৩৭ টি ছবি । রাহাত এম.আহমেদ, অন্বয় অদিত, নাসিম বানু, শাহাদাত হোসাইন বাপ্পি এর তোলা ছবি ও প্রদর্শনীতে আছে। আছে পাঠশালা পরিবারের আলোকচিত্রী আবীর আব্দুল্লাহ, রাহুল তালুকদার, শুভ্র কান্তি দাস, কে এম আসাদ, মনিরুল আলম, শামসুল আলম হেলালের তোলা ছবি ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন। ছবির পাশাপাশি এ আয়োজনে রয়েছে নিউ এইজ পত্রিকার সাংবাদিক মেহেদী হক, শহীদ আতিকুল্লাহা ও মার্ফির কার্টুন-ক্যারিক্যাচর ও বিভিন্ন পত্রিকায় রোহিঙ্গাদের আগমন এবং মিয়ানমারে তাঁদের উপর নির্যাতনের নানা খবর ও সংবাদ শিরোনামের পেপার কাটিং ও দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় এর লেখা নিয়ে বানানো একটি বই এর প্রদর্শনী।
ধানমন্ডির পাঠশালা ক্যাম্পাসের দোতালায় বারান্দা জুড়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে বিশেষ ভাবে রয়েছে রোহিঙ্গাদের পোট্রেট, মিয়ানমার থেকে নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য ও অতি প্রয়োজনীয় দলিলের ছবি। এছাড়া আছে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ পরিক্রমা, দুর্ভোগ; পাওয়া না পাওয়ার নানা গল্প।