ঢাকা: হাল ছেড়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই৷ সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন রাজ্য গোয়েন্দারা৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি কাণ্ডের তদন্ত আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ এবার তাতেই মিলল সাফল্য৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্তকারী দল গ্রেপ্তার করল প্রদীপ বাউড়ি নামে এক বাউল গায়ককে৷
এশিয়ার প্রথম নোবেল প্রাপকের পদক চুরি যাওয়া রীতিমতো অসম্মানের ছিল গোটা দেশের কাছে৷ প্রায় এক যুগ পেরোলেও সে কলঙ্ক মেটেনি৷ সিবিআইয়ের হাতে তদন্তের ভার থাকলেও কোনও কিনারা হয়নি৷ শেষমেশ একরকম হালই ছেড়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷
এই পরিস্থিতিতে গত আগস্টে তদন্ত নিজের মতো করে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঠিত হয় সিট৷ যার নেতৃত্বে ছিলেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার৷ তদন্তের অগ্রগতিতে এল ভাল সাফল্য৷ গ্রেপ্তার করা হল ওই বাউল শিল্পীকে৷ ঘটনায় তিনি যে জড়িত ছিলেন সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত গোয়েন্দারা৷ অনুমান করা হচ্ছে, চোরদের ঢোকা ও পালানোর বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন তিনিই৷
এর আগে সিবিআইও আটক করেছিল তাঁকে৷ তবে দিনকয়েক হেফাজতে রাখার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ তার থেকে উল্লেখযোগ্য কোন সূত্রই পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছিল৷ কিন্তু রাজ্যের গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে ওই গায়কই এই ঘটনায় জড়িত৷ প্রয়োজনে লাই ডিটেকশন টেস্ট বা নারকো অ্যানালিসিস টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে৷ একসময় গ্রামপ্রধানও ছিলেন এই গায়ক৷ তিনি সিপিএমের সমর্থক ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে৷
তদন্তে গোয়েন্দারা আরও বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পেয়েছেন৷ যারা সকলেই পুরনো অ্যান্টিক জিনিসের ডিলার৷ তাদের অনেকে বিদেশেও থাকে৷ গোয়েন্দাদের বিশ্বাস প্রদীপের সূত্র ধরেই সেই ডিলারদের নাগাল মিলবে৷ খুব শীঘ্রই যে এই কাণ্ডের কিনারা হবে এমনটাই বিশ্বাস গোয়েন্দাদের৷
সংবাদ প্রতিদিন
