ছবি: বহুমাত্রিক.কম
মৌলভীবাজার : বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিকদের মাঝে নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ ও অনিয়মের প্রতিবাদে ঠিকাদারের লোকজন ও পুলিশি বাঁধা অতিক্রম করে কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের নারী ও পুরুষ চা শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
রোববার কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনা এলাকায় ভুক্তভোগী চা শ্রমিকদের সহায়তায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক নারী ফোরামের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
চা শ্রমিক অম্বিকা ব্যানার্জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন মোহন রবিদাস, গীতা রানী কানু, লসমী রাজভর ও সুমন কৈরী সুরত। বক্তারা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগেই কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানে যেসব খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় তা ছিল খুবই নিম্নমাণের।
প্রতি চা শ্রমিককে এক সাথে তিন মাসের হিসাবে ৪৫ কেজি করে চাল, ৯ কেজি ডাল, ১৫ কেজি আলু, ১৫ কেজি আটা, ৬ লিটার সোয়াবিন তেল, ৬টা সাবান, ১টা শাড়ী ও ১টা করে লুঙ্গী বিতরন করা হয়। বিতরণকৃত খাদ্যের মধ্যে চাল, ডাল, আটা ও সোয়াবিন তেল ছিল নিম্নমাণের। চাল ছিল পোঁকা ও দুর্গন্ধযুক্ত। তাছাড়া বিতরণকৃত শাড়ি ও লুঙ্গি ছিল নিম্নমানের।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে চা শ্রমিকদের অভিযোগে সত্যতা পেয়ে সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপি নি¤œমানের খাদ্য সামগ্রী থাকায় প্রথম দিকে বিতরণ বন্ধ রেখেছিলেন। পরবর্তীতে আবারও অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে চা শ্রমিকদের মাঝে নিম্নমাণের খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা রানী কানু বলেন, রোববার মানবন্ধন শুরুর সময় ঠিকাদারের লোকজন মাববন্ধন কর্মসূচী বন্ধ রাখতে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এমনকি কমলগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ মানববন্ধন কর্মসূচীতে আয়োজকদের মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়।
গণফোরাম মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ মাখন ও সিপিবি কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি আহমদ সিরাজ এসব ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, নারী ফোরামের এই প্রতিবাদ কোন ফেলাফেলার নয়। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, বিতরনেল প্রথম দিকে কিছু অভিযোগ পেয়ে খাদ্য সামগ্রী পরীক্ষা করে ও কিছু চাল পরিবর্তন করে চা শ্রমিকদের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে। তারপরও খতিয়ে দেখে অনিয়ম ও দূর্ণীতির সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বহুমাত্রিক.কম