ঢাকা : দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির মঙ্গলবার দৃঢ় অঙ্গীকার করে বলেছেন, সরকার দুর্ভিক্ষকবলিত বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো নিশ্চিত করবে। দেশটিতে তিন বছরের যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। আর এসব এলাকায় ত্রাণ কর্মী প্রবেশেও কড়াকড়ি রয়েছে।
বিশ্বের নবীনতম এ দেশ সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় গ্রেটার ইউনিটি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা দুর্ভিক্ষ কবলিত ঘোষণা করে। সেখানে প্রায় এক লাখ লোক অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এবং আরো প্রায় ১০ লাখ লোক দুর্ভিক্ষের কিনারায় পৌঁছে গেছে। দেশটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ লোক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে যাচ্ছে।
ত্রাণ গ্রুপগুলো ‘মানব সৃষ্ট’ এ দুর্ভিক্ষের কঠোর সমালোচনা করছে। তারা বলছে, কেবলমাত্র যুদ্ধের কারণেই সেখানে এ দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছে।
দেশটিতে গৃহযুদ্ধের কারণে লোকজন বাধ্য হয়ে তাদের ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এদিকে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় জিনিস পত্রের দামও অনেক বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধের কারণে যুদ্ধাঞ্চলে ত্রাণ কর্মীদেরও প্রবেশে বাধা দিতে দেখা যায়।
এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মানবাধিকার সংস্থার (এইচআরডব্লিউ) এক বিবৃতিতে দেশটিতে একের পর এক অত্যাচার নিপীড়ন অবসানে সরকারি ও বিরোধী বাহিনী এবং আন্তজার্তিক নেতাদের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
পার্লামেন্টে ভাষণ দেয়ার সময় কির বলেন, দেশের দুর্ভিক্ষ পীড়িত জনগণের কাছে ত্রাণ কর্মীরা যাতে সাহায্য পৌঁছে দিতে পারে সরকার সেটা নিশ্চিত করবে।