ফাইল ছবি
ঢাকা : শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমির মালিক সরকার দাবি করা হলেও ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসা বিশিষ্টজনরা জানিয়েছেন, এ জমির মালিক সাঁওতাল এবং স্থানীয় দরিদ্র মানুষের বাপ-দাদারা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার ‘সচেতন নাগরিকবৃন্দ’ আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বিশিষ্টজনরা।
এতে সচেতন নাগরিকবৃন্দের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘খতিয়ানে দুদু মাঝি, দুর্গা মাঝি, জলপা মাঝি, জেঠা কিস্কু, মঙ্গলা মাঝি, মুংলি, চারো মাঝি, সুকু মাঝি- এই সব অনেক নাম পেয়েছি, যাদের জমি ছিল বাগদা ফার্মের মধ্যে। সাঁওতাল বাগদা সরেনের নাম অনুসারে এই ফার্ম পরিচিত পায়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘সরকারের মন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে অনেকে মিডিয়ার সামনে বলেছেন এই জমি কখনও সাঁওতালদের ছিল না। এটি সম্পূর্ণ অসত্য ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল। আমরা যে কথাটি বলতে চাই, তা হল- এটা সাঁওতাল এবং স্থানীয় দরিদ্র মানুষের বাপ-দাদার জমি। আমরা এই জমির খতিয়ান কপি পেয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারাকাত, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে ৩ সাঁওতাল নিহত হন।
বহুমাত্রিক.কম