ঢাকা : দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ কিছুটা দুরে জেজু দ্বীপটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুবিধার কারণে বছরে বহু পর্যটক জেজুতে যান।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে আসা মানুষের ভিড়ে দ্বীপের কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিস্মিত এবং পরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।যুদ্ধ বিপর্যস্ত ইয়েমেন থেকে যে পাঁচশরও বেশি মানুষ জেজুতে এসে আশ্রয় চাইছেন, তাদেরই একজন ইয়াহিয়া।
বিবিসিকে তিনি বলেন, "আমরা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এখানে এসেছি। আমরা প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছি। শান্তিতে, নিরাপদে থাকার জন্য এখানে এসেছি। একটা ভালো জীবনের আশায় এসেছি।"
কিন্তু জেজুতে কেন এসেছেন তারা?
"দক্ষিণ কোরিয়া এমন একটি দেশ যারা ইয়েমেনিদের ভিসা ছাড়া ঢুকতে দেয়, তারা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়।"এই ভিসাবিহীন ভ্রমণের সুযোগে ৮০০০ কিমি দূরে এই জেজু দ্বীপে এসে হাজির হয়েছেন ইয়াহিয়া এবং আরো কয়েকশ ইয়েমেনি।
"ইয়েমেনে সমস্ত অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো কারাখানা নেই, স্কুল নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাওয়ার মতো পানি নেই।"২০১৮ সালের প্রথমার্ধে ৫৫০ জন ইয়েমেনি জেজুতে নেমে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছে।
যতদিন সেই আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হয়, ততদিনের জন্য স্থানীয় সরকার এসব ইয়েমেনিদের জন্য মৎস্য শিল্পে, হোটেল রেস্তোরাঁয় সাময়িক কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।কিন্তু এখানে স্থায়ী বসবাসের সম্ভাবনা তাদের জন্য কতটা?
নাম প্রকাশে অনিছুক কোরীয় একজন অভিবাসন কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাবনা খুবই কম।"আশ্রয়ের জন্য যে আবেদন হয়, তার পাঁচ শতাংশেরও কম গৃহীত হয়। আমি বলবো তিন শতাংশের মত। সুতরাং ৯৭ শতাংশ আবেদন খারিজ হয়ে যাবে।"
ইয়াহিয়ার বক্তব্য: তারা স্থানীয় মানুষের ওপর কখনই বোঝা হবেন না। "এখানে যারা এসেছেন, তাদের পরিবার রয়েছে, বাচ্চা-কাচ্চা রয়েছে। অনেক মানুষ শিক্ষিত, দক্ষ। তাদের অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে। তারা ইংরিজি জানে।"
বিবিসি বাংলা