ঢাকা : আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক ও সেতু দেখার পাশাপাশি এখন থেকে তৃণমূলের সমস্যাও দেখবো। একই সাথে সৈয়দ আশরাফ তার নাম প্রস্তাব করাকে এই সম্মেলনের সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে বর্ণনা করে ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাই। সেখানে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমাকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে, কখনও কখনও নালিশও করে। এখন যেহেতু অথরিটি পেয়েছি সেহেতু একদিকে সড়ক ও সেতু দেখবো পাশাপাশি তৃণমূলের সমস্যাও দেখবো। আমি এখন দলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ শুনতে পারবো। সঙ্গে সমাধানও দিতে পারবো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে সোমবার দুপুর দুইটায় ধানমণ্ডির প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া নিজের রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি বলে উল্লেখ করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এজন্য দলের সভাপতি ও তৃণমূল থেকে আসা কাউন্সিলরদের অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার নাম ঘোষণা করায় তার ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের আচরণ সামনে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে আরও গুণগত পরিবর্তন হবে। আমাদের নিজেদের বদলাতে না পারলে আমরা দেশকে পরিবর্তন করতে পারবো না। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তন আওয়ামী লীগে হবে। আমরা যদি নিজেদের বদলাতে না পারি তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বদলাবো কিভাবে? তিনি এজন্য দলের নেতা-কর্মীদের আচরণ বদলানোরও অনুরোধ জানান।
এ সময় সম্মেলনের চমক সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকেই চমক কী সেটা জানতে চেয়েছেন। চমক হলো আমার নাম প্রস্তাব সৈয়দ আশরাফই করেছেন। এটাই চমক। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ম্যাজিক পাওয়ার।’
নিজের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আচরণে-উন্নয়নে দেশের সেরা দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
বহুমাত্রিক.কম
