ফাইল ছবি
দলের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের যেসব স্বজনেরা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ৩০ এপ্রিল। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সেদিন কার্যনির্বাহী সংসদের সভাতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভায় অবাধ্য প্রার্থীদের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
কেন্দ্রের কঠোর সিদ্ধান্ত ও বার বার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনের ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বেশিরভাগ স্বজনেরা। নাটোরের সিংড়ায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবসহ ৩ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের বাইরে আর কোন প্রত্যাহারের খবর নেই।
সেই হিসেবে মাদারীপুর সদরের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খানসহ আরও অন্তত ২০ জন অবাধ্য প্রার্থী মাঠে রয়ে গেছেন।
নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু পরিবারের মধ্যে নেতৃত্ব না রেখে তা ছড়িয়ে দিতেই মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে দল।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা তাদের সঙ্গে কথা বলে বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। এগুলোকে আমরা তালিকাভুক্ত করে ৩০ তারিখের সেন্ট্রাল কমিটির মিটিংয়ে প্লেস করব।’
দলের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল বলেন, ‘যারা ক্ষমতাবান, তারা মনে করে আমরা ক্ষমতাকে এভাবেই এনজয় করব। এটা কিন্তু দাঁড়িয়ে গেছে। সুতরাং এই জায়গা থেকে বের করে আনার জন্য শক্ত হতেই হবে।’
দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনার ভিত্তিতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
আহমদ হোসেন বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে, পার্টির সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা শাস্তিমুলক ব্যবস্থা। লঘু শাস্তি না গুরু শাস্তি এটা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিএম মোজাম্মেল বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিল আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আছে সন্ধ্যা ৭টায়, গণভবনে। সেখানেই এই বিষয়গুলো ফয়সালা হবে। ওখানেই সিদ্ধান্ত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে।’
এ সভার সিদ্ধান্ত পরের ধাপের উপজেলা নির্বাচনগুলোতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৮ মে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবার মোট চার ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের ভোট হবে ১৫০ উপজেলায়।