ফাইল ছবি
পুলিশের অভিযানের এক ঘণ্টা পর যুবদল নেতা আমজাদ হোসেনের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে বাড়ির পাশের একটি ধইঞ্চা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্বজন ও স্থানীয়রা। এর এক ঘণ্টা আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযানে এসেছিল পুলিশ।
নিহত আমজাদ হোসেন উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের মৃধাকান্দা গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আমজাদ হোসেনের নামে একটি মামলায় আদালতকর্তৃক এক বছরের কারাদণ্ডের রায়ের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় রাজনৈতিক ও জমি-জমাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যদক্ষদর্শীরা জানায়, ভোর ৪টার দিকে সাজার পরোয়ানা নিয়ে আমজাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। তাকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে যায়। পরে ভোর ৫টার দিকে স্থানীয় লোকজন ও মসজিদের মুসল্লিরা মৃধাকান্দার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ধইঞ্চা ক্ষেতের পাশে আমজাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আমজাদকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আমজাদের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমি ঘরের দরজা খুলে দেখি পুলিশের গাড়ী চলে গেছে। বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে তিনি ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে বাহিরে বের হন। আমার ধারণা আমার স্বামী নামাজ পড়তে মসজিদে গেছেন।’
আমজাদের বড় মেয়ে আশা আক্তার বলেন, ‘বাবার মুখে ও চোখের কোণে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে বাবাকে কেউ হত্যা করেছে কিনা তা এখন বলতে পারবো না।’
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।’
যুবদল নেতা আমজাদের মৃত্যুর সংবাদ শুনে শোকসন্তপ্ত পরিবারে সমবেদনা জানাতে ছুটে আসেন বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের মেয়ে ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ দোহার বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় মেহনাজ মান্নান নিহতের পরিবারকে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মেহনাজ মান্নান বলেন, ‘আমজাদ দলের একজন ত্যাগী নেতা। অনেক মামলা হামলার শিকার হয়েছে। আজ এভাবে রহস্যজনক এ মৃত্যুর কারণ আমরা খুঁজেবের করতে চাই।’
