Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

অর্ধেকের বেশি ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের নীতিমালা নেই

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২১, ২৮ আগস্ট ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

অর্ধেকের বেশি ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের নীতিমালা নেই

ঢাকা : অর্ধেকের বেশি ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের কোন নীতিমালা নেই বলে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৫৮ শতাংশ ব্যাংক এক শাখা থেকে আরেক শাখায় ফান্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আবার ৯৬ শতাংশ ব্যাংক সেকেলে পদ্ধতিতে ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের হিসাব করছে। তবে ৪ শতাংশ ব্যাংক অন লাইন ক্যালকুলেটারের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার কার্ভ ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করছে।

রোববার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে ‘ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিং অব কমার্শিয়াল ব্যাংকস:স্টাটাস অ্যান্ড মেজারস ফর ইমপ্লিমেন্টিং ইন ব্যাংকস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগি অধ্যাপক মো. আলমগীর। সেমিনারে ‘সাসটেইনিবিলিটি রিপোটিং প্র্যাক্টিসেস ইন ব্যাংকস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরো একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কামাল খান চৌধুরী, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি ও হেলাল আহমদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

‘ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিং অব কমার্শিয়াল ব্যাংকস:স্টাটাস অ্যান্ড মেজারস ফর ইমপ্লিমেন্টিং ইন ব্যাংকস অব বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,৬২ শতাংশ ব্যাংকের ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিং হয় ম্যানুয়ালি। আবার ৮৫ শতাংশ ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট কমিটির মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিং হয়।

এদিকে ‘সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্টিং প্র্যাক্টিসেস ইন ব্যাংকস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল রিপোটিং ইনিসিয়েটিভস (জিআরআই) গাইড লাইন অনুসরণ করে রিপোটিং করে মাত্র ৭ টি ব্যাংক। ৩৪ টি ব্যাংক জিআরআই গাইড লাইন অনুসরণ করছে না। অবশিষ্ট ব্যাংকগুলো আংশিক জিআরআই গাইড লাইন অনুসরণ করছে। যদিও ২০১৫ সালের জুনের মধ্যে স্বাধীনভাবে সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্ট (আইএসআর) প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ সময়ের মধ্যে জিআরআই গাইড লাইন অনুসরণ করে প্রতিবেদন করছে মাত্র ৭ টি ব্যাংক।

কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর রাজী হাসান বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন করেছে। যা এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয়। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশ দুটোই একই সঙ্গে ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর সাসটেইনিবিলিটি রিপোটিংও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাসটেইনিবিলিটি রিপোটিংয়ের জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে অধিকাংশ ব্যাংক তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধূরী বলেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন করা।এ লক্ষ্য পূরণে টেকসই অর্থায়নের কোন বিকল্প নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্টিং করছে। তিনি বলেন, ফান্ড ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট রেট নির্ধারণ করতে হবে।

প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কামাল খান চৌধুরী বলেন, যেসব ব্যাংক জিআরআই গাইড লাইন অনুসরণ করবে তাদেরকে বিশেষ সুবিধা দেয়া যেতে পারে। এতে ব্যাংকগুলো জিআরআই গাইড লাইন অনুসরণে আগ্রহ বাড়বে।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer