আগামী কাল ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন।
আগামীকাল ১০ এপ্রিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এদিনে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়।
২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস জাতির সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের আরও বেশি সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।
ওই বার্তায় জেনারেল মানেকশ বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি তখনই কার্যকর হবে যখন পাকিস্তানী বাহিনী অগ্রবর্তী ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে। ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই বার্তা রাওয়ালপিন্ডিতে পাঠিয়ে দেয়া হলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ঢাকায় জানিয়ে দেন জেনারেল মানেকশ`র প্রস্তাব মেনে নিতে।
বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির দিন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ, মহান বিজয় দিবস। এইদিনে রমনা রেসকোর্স ময়দানেসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ করেছিল হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী।
ভার্চুয়াল আলোচনায় নেতাজি বিশেষজ্ঞ ড. জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সংগ্রামী জীবন ও অতুলনীয় দেশপ্রেম আজ বিশ্বের কাছে এক অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর সংগ্রামী আদর্শই সমস্যাসংকুল বিশ্বে নতুন দিশা দিতে পারে। তাই তাঁর আদর্শকে ভারতবর্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে হবে।’
মিশেল ফুকো ছিলেন একজন ফরাসি দার্শনিক। তিনি একসময় কলেজ দ্য ফ্রান্সের নিয়মতান্ত্রিক ধারণার ইতিহাস বিভাগের প্রধান ছিলেন।
বিশিষ্ট নেতাজি বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী বলেছেন, ১৮ অগাস্টকে (১৯৪৫) এখনো নেতাজির মৃত্যুদিবস হিসেবে পালন করা ভারতবাসীর জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যে প্লেন দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর গল্প রটানো হচ্ছে বছরের পর বছর তথাকথিত সেই দুর্ঘটনার কোন নির্ভরযোগ্য সঠিক প্রমাণ আদৌ মেলেনি।
বঙ্গবন্ধু উপরে উঠতে না উঠতেই শেখ কামাল নিচে নেমে বারান্দায় দাঁড়ান। তখন কোনো কথা না বলেই শেখ কামালের পায়ে গুলি করে বজলুল হুদা। নিজেকে বাঁচাতে লাফ দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে পড়েন শেখ কামাল। বলতে থাকেন, ‘আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল।’