
ফাইল ছবি
যশোর: যশোর শহরসহ জেলার ৮টি উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গঁজিয়ে উঠেছে সোনার দোকান। তবে সেখানে সারাদিন কোন সোনা বিক্রয় হয়না, দোকানের ছত্রছায়ায় দেদারসে চলছে সুদের কারবার। তাদের এই বেআইনি সুদের কারবারের বলি হচ্ছে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি অনেক সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, যশোর শহরসহ জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন বাজার এবং অলি-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে সোনার দোকান। এসব দোকানে দিনে এক আনা সোনও বিক্রয় হয় না। সোনার দোকানের অন্তরালে চলছে দেদারছে সুদের কারবার। এসব দোকান থেকে টাকা নিতে গেলে নিজেদের সোনার গহনা জমা দিতে হয়।
এক ভরি সোনা জমা দিলে সর্বসাকুল্যে ১০,০০০ টাকা দেয় দোকানীরা। তবে তাতেও রয়েছে বিভিন্ন শর্ত। এই দশ হাজার টাকায় প্রতি মাসে শতকরা ১০.০০ টাকা হারে সুদ দিতে হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়। প্রতি মাসের টাকা মাসের ভিতর না দিতে পারলে তার অতিরিক্ত সুদ আরোপ করা হয়। তাছাড়া তিন মাসের মধ্যে যদি গহনা ফেরত না নেয় তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। কোন প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া প্রশাসনের নাকের ডগার উপর এইসব সোনার দোকানীরা অবাধে সুদের ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে। তা দেখার মত কেউ নেই।
তবে একটি সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এসব সোনার দোকনিরা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের মাসোহারা প্রশাসনকে দিয়ে থাকে। যে কারনে প্রশাসন সব জানা থাকলেও তাদের কিছু বলে না। এভাবেই প্রতিনিয়ত সুদ টানতে টানতে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। এমনকি অনেক পরিবার ইতোমধ্যে তাদের অলঙ্কার স্বর্ণকারের সুদের দায়ে দিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম