Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সর্বোচ্চ টিকা পেয়েছেন ঢাকার মানুষ : সর্বনিম্ন বান্দরবান

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ২৫ অক্টোবর ২০২১

প্রিন্ট:

সর্বোচ্চ টিকা পেয়েছেন ঢাকার মানুষ : সর্বনিম্ন বান্দরবান

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিকা কার্যক্রমের আওতায় সর্বোচ্চ টিকা পেয়েছেন ঢাকা মহানগরীর মানুষ, আর সর্বনিম্ন টিকা পেয়েছেন বান্দরবানের মানুষ।

সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে চলমান টিকা কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ২৬৬ জন টিকা পেয়েছেন। সবচেয়ে কম পেয়েছেন বান্দরবান জেলায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯৫ জন।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানেও এগিয়ে আছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগের ১ কোটি ১৩ লাখ ৯২ হাজার ২১৭ জন অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে অন্তত এক ডোজ টিকা পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৭০ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৬ জন।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ২৬ লাখ ৫৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০ জন, রংপুর বিভাগে ৪৬ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯৯ জন, বরিশাল বিভাগে ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৯৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ২২ লাখ ৪০ হাজার ১৩৫ জন এক ডোজ টিকা পেয়েছেন।

ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, দেশে সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন সব মিলিয়ে ৪ কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪৯ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২ কোটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯১৪ জন।

টিকাগ্রহীতাদের সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে সিনোফার্মের টিকা। চীনের তৈরি এই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন। এছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৮২ লাখ ২১ হাজার ৩১৯ ডোজ, মডার্নার ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৯২ ডোজ এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখের বেশি। সে হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি করোনা প্রতিরোধে দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এদিকে, গতকাল রোববার (২৪ অক্টোবর) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন অনেকটাই আশানুরূপ। প্রতিদিনই এ ভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার কমছে। সেই সঙ্গে সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে টিকা কার্যক্রম। তবে শতভাগ টিকা না পাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। সংক্রমণের হার হ্রাস আশাব্যঞ্জক হলেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই।

নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি (মাস্ক পরিধান, সাবান কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা) মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

ডা. মো. নাজমুল ইসলাম জানান, বর্তমানে করোনা হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমে এসেছে। সংক্রমণ কমে আসায় টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যাও কমে এসেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে করোনামুক্ত বলা যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশকে করোনামুক্ত বলা যাবে না। এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

টিকার জন্য কতজন স্কুল শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক জানান, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তথ্য দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগে পুর্ণাঙ্গ তথ্য আসলে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধনকারী স্কুল শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer