বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুরে রেশমা আকতার (৩০) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবার থেকে হত্যা দাবী করা হলেও পুলিশের দাবী আত্মহত্যা করেছে। নিহত রেশমা উপজেলার মাঝিড়া দাড়িকামাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) এর স্ত্রী।
প্রতিবেশীরা জানান, মাঝিড়া দাড়িকামাড়ি গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের মেয়ে রেশমার প্রায় ১৯ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। পারিবারিক জীবনে তাদের ১ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।
স্বজনরা জানান, ৭/৮ বছর ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ও ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। এ কারনে দুজনে একসাথে বসবাস করতো না। েেরশমা ঢাকা কোনাবাড়ি এবং সাইফুল জয়দেবপুরে বেসরকারী কোম্পানীতে চাকুরী করে। সব ঝগড়ার অবসান করে এবারে দুজনে একসাথে ঈদুল আজহা করবে বলে রেশমাকে ফোন করে শাজাহানপুরের মাঝিড়া দাড়িকামাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে ডেকে আনে।
শনিবার ১৭ আগষ্ট পুর্বের ন্যায় ঘড়ের দরজা বন্ধ করে দুজনে ঝগড়া করতে থাকে। কিছুক্ষন পর রেশমার আত্ম চিৎকার শুনতে পেরে প্রতিবেশীরা বাড়ীতে এলে সাইফুল কোন কথা না বলে রেশমাকে কাধের উপর নিয়ে সিএনজি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ঘড়ে ঢুকে রক্তমাখা মেঝে দেখে বারবার সাইফুলকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পায়।
রেশমার মেয়ে সুমাইয়া (১৮) জানান, বাবা তার মাকে দিনের পর দিন নির্যাতন করতো এবং তাদের ভরন পোষন বহন করতো না। ঘটনার দিন তার মা রেশমাকে অতিরিক্ত মারধর ও নির্যাতন করার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং এক পর্যায়ে মৃত্যু হয়। আর হত্যার দায় এড়ানোর জন্য মুখে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে কাউকে কোন কিছু না বলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রেশমার অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়। এ অবস্থায় লাশ রেখে তার বাবা সাইফুল পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন শুনেছি মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে বিষয়টি জানা যাবে।
বহুমাত্রিক.কম