ছবি: সংগৃহীত
সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে ফিশিং বোটসহ আটক ১৭ বাংলাদেশি জেলে দেশে ফিরেছেন। ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৩ জন ভোলার, ২ জন চট্টগ্রামের, একজন ঝালকাঠি ও একজন মুন্সিগঞ্জ জেলার অধিবাসী।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমায় শুন্য রেখায় কোস্ট গার্ডের জাহাজে বাংলাদেশি জেলেদের হস্তান্তর করে মিয়ানমার। এ সময় সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, মিয়ানমারের প্রতিনিধি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা জেলেরা হলেন- ভোলা জেলার কুলাকুপার এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে মো. আল আমিন, একই জেলার চরকলিপা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, উত্তর মাদ্রিস এলাকার নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীর ছেলে মো. জসীম, জয়নাল আবেদীনের ছেলে নুরুল ইসলাম, মকবুল আহাম্মদের ছেলে মো. নাছের, পশ্চিম এওয়াজপুর এলাকার মৃত খোরশেদ আলম সওদাগরের ছেলে মো. কামাল সওদাগর, নুরাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ ব্যাপারীর ছেলে আবুল কালাম, নীল কমল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে বেলাল হোসেন, মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে মো. মোতাহার, চুন্নাবাদ এলাকার মো. মিলনের ছেলে জাকির হোসেন, কন্দকার বারী এলাকার আবি আব্দুল্লাহর ছেলে আবুল কালাম, স্যার নুরুল আমিন ইউনিয়নের নজির আহাম্মদের ছেলে মো. ফারুক, এবারেক চকিদারের ছেলে মো. সেলিম, চট্টগ্রামের লাওর বিল এলাকার মৃত আব্দু জলিলের ছেলে মো. শাহ আলম, মৃত সোলাইমানের ছেলে মো. জসীম, মুন্সিগঞ্জ জেলার চাষি বারীগঞ্জ এলাকার মৃত তাহের আলী দেওয়ানের ছেলে আবু সৈয়দ ও ঝালুকাটি জেলার শওকতগঞ্জ এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নুরুজ্জামান।
এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে জাহাজে প্রেস ব্রিফিং করেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তাজউদ্দিন জাহাজের প্রধান কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. সোহেল রানা, চট্রগ্রাম কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা লে. শাহ জিয়া রহমান প্রমুখ।
কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে ১৭ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। এর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাথিডং উপকূলের মাইও নদীর মোহনায় মিয়ানমারের জলসীমায় দেশটির নৌবাহিনী কর্তৃক ১৭ জেলেসহ এফবি গোলতাজ-৪ (এফ-৬০৭৯) নামে বাংলাদেশী একটি ফিশিং বোট সাগরে ভাসমান অবস্থায় আটক হয়। পরে সরকারের উর্চ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত আনা হয়েছে।