ঢাকা : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- গত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি’, ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের মিডনাইট ভোট নিয়ে মহাসত্যটা প্রকাশ করে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন জোটের এ নেতা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদও মেননের মতো সত্যটা একদিন বলবেন বলে আশা রিজভীর।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, অবশেষে সত্য কথাটা অকপটে জনগণের সামনে স্বীকার করতে হলো মেনন সাহেবকে। বিবেকের তাড়নায় মেনন সাহেব যে সত্যকথাগুলো বলতে শুরু করেছেন, হয়তো কয়েক দিন পর ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদরাও বলবেন। আর এই কথাগুলো যতই তাদের নিকট থেকে বেরিয়ে আসবে, ততই বন্ধক রাখা আত্মা মুক্ত হবে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে জনগণের ভোট ডাকাতি করে যারা এখন গণভবন দখলে রেখে চটুল কথাবার্তা বলে নিজেদের ধোয়া তুলশী পাতা প্রমাণের চেষ্টা করছেন, জনগণ তাদের আসল চেহারাটা জানে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, কথায় বলে- ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সত্যকে কখনও ধামাচাপা দেয়া যায় না। সত্য কোনো না কোনোভাবে প্রকাশিত হয়-ই। নিশিরাতের সরকারের সঙ্গী রাশেদ খান মেনন যেকোনো কারণেই হোক, এবার নিজের মুখে মহাসত্যটি স্বীকার করেছেন। মেনন বলেছেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়নি। তিনি বলেছেন- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ। উন্নতির প্রচারণার আড়ালে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। ক্যাসিনো অভিযানের নামে ছিঁচকে কিছু দুর্নীতিবাজ ধরা হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।’ এদেরকে কবে ধরা হবে সে প্রশ্নও তুলেছেন জনাব মেনন।
শনিবার বরিশালে এক অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দেয়নি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪দলীয় জোটের অন্যতম নেতার মুখে এমন মন্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়েছে।
মেননের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। আজ রোববার সচিবালয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিত্ব পেলে মেনন নির্বাচন নিয়ে কি একথা বলতেন?