Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের চেয়ার বাঁচাতে মন্ত্রীপাড়ায় দৌঁড়ঝাপ

কাজী রকিবুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২৪ জুন ২০১৯

প্রিন্ট:

মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের চেয়ার বাঁচাতে মন্ত্রীপাড়ায় দৌঁড়ঝাপ

যশোর: যশোর জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লাইজু জামানের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ করছেন তিনি। মহিলা পরিষদের সাবেক কিছু সদস্যদের সূত্র মতে, তিনি নিজের চেয়ার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ঢাকায় মন্ত্রী পাড়ায় এক আত্মীয় দিয়ে তদবির করছেন।

এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন ট্রেডের শিক্ষার্থীরা লাইজুর বিরুদ্ধে অপকর্ম ফাঁস করতে শুরু করেছে। ২৪ জুন চেয়ারম্যান লাইজু জামান অফিসে যেয়ে তার নানা অপকর্মের খাতা ও ভাউচার ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন সহকর্মীদের।
যশোর জেলা শাখার চেয়ারম্যান লাইজু জামানের বিরুদ্ধে জোর অভিযোগ উঠেছে, সংস্থার কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট করছেন।

গত পনেরো বছর ধরে তিনি এ সংস্থার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এ দীর্ঘ সময় তিনি ওই পদে থেকে সংস্থার অর্থ লুটপাট করে বাড়ি গাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়মানুযায়ী তিনি কোনো সভা আহ্বান করেন না। এমনকি কারো মতামতের ধারও ধারেন না।

এদিকে সংস্থাটি অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তা বিকাশসাধন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এসব ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিদিন ১০০ টাকা ভাতা দেয়া হয়। এ ভাতা প্রদানেও অনিয়ম দুর্নীতির শেষ নেই। এমনকি একটি ট্রেডে ভর্তি প্রশিক্ষণার্থীকে অন্য ট্রেডে ভর্তি দেখিয়ে তার ভাতার টাকা তুলে পুরোটা লোপাট করে নেয়া হয়। এর পাশাপাশি ভর্তি বাতিলের ভয় দেখিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক বা তার বেশি টাকা নেয়া হয়।

এছাড়া, টাকার বিনিময়ে যশোর জেলা মহিলা সংস্থায় এসএসসির ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নাজমুন আক্তার নামে একজন মহিলা ট্রেড প্রশিক্ষক পদে চাকরি করছেন। সংস্থার চেয়ারম্যান বিষয়টি জানার পরও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ১০ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়ে তার চাকরি নিয়মিতকরণের সুপারিশ করেছেন। এসব অনিয়ম তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

এভাবে, সংস্থার কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। আর সেই আত্মসাতের টাকায় শহরে নির্মাণ করেছেন একটি আলিশান বাড়ি। শংকর কুমার সাহা নামে এক ব্যক্তি ওই জমিটি তিনি জোর করে দখল করেন। এ ব্যাপারে এখন আদালতে মামলা চলছে।

নাম প্রকাশ করার না করার শর্তে ট্রেডের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ট্রেডের কোনো ক্লাস না করলেও সকল শিক্ষার্থীরা পাশ করে যায়। শুধু শর্ত হচ্ছে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবেনা। অথচ সরকার সকল শিক্ষার্থীদের জন্যে প্রতিদিন ১০০ টাকা বরাদ্ধ করেছেন। কিন্তু এ টাকা কেউ কোনো দিন পাইনি। এমনকি কোর্চ শেষে যে টাকা দেয়া হয় তাও অনেক শিক্ষার্থী সম্পর্ন পাইনি। অতিদ্রুত লাইজুর চেয়ার থেকে অপসারণ চেয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer