ঝিকরগাছার বাঁকড়া এলাকায় প্রতিটা হাট-বাজারে উচ্চ শব্দে বাজিয়ে চলেছে প্রচার মাইক। এর ফলে মারাত্মভাবে বিঘ্ন ঘটছে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনায়। মাত্রা অতিরিক্ত অসহনীয় শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ বাঁকড়া এলাকাবাসী। এলাকায় বিশেষ করে প্রাইভেট ক্লিনিক, প্যাথোলোজী, ধর্মীয় সভা, মাংস বিক্রয়ের প্রচার,দন্ত ডাক্তারদের প্রচার, সভা সমিতি, রাজনৈতি সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচী, মলম, মাজন, ইদুরের ঔষধ, বিভিন্ন এনার্জি বাল্বের প্রচারসহ নানাধরণের প্রচারের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত এই প্রাচার মাইক চলতে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ইট ভাটার মাটি ও ইট বোঝায় ট্রলি ও ট্রাক্টরের উচ্চ মাত্রার হর্ন এর কারণে বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ্য ব্যক্তি ও পরীক্ষার্থীদের দূভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁকড়া বাজার কমিটির প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা ডাঃ মোস্তফা আসাদুজ্জামান আসাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতি ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে উচ্চ শব্দে মাইক সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে।
দিনের বেলা ছাড়াও গভীর রাত পর্যন্ত এসব ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রিকসা, ইজি-বাইক, অটো রিকসায় মাইক ব্যবহার করে ভোগ্যপন্য ডায়াগনিস্টিক সেন্টার গুলোতে চিকিৎক ও বিভিন্ন ধরনের প্রচার চলছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। ফলে মাদ্রাস, মসজিদ, সরকারী হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, ব্যাংক, বিমা, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে দৈনিন্দ কাজ সারতে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে সংশ্লিষ্ট লোকজন। বাঁকড়া বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব মোঃ মতিয়ার রহমান, আঃ রাজ্জাক বিশ্বাস, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, ইব্রহিম হোসেন, বিল্লাল হোসেন, জিয়াউর রহমান বলেন এভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে জনজীবন অতিষ্ট করে তুলছে তারা।
বিশেষ করে বাঁকড়া বাজারের ভাড়াটিয়াদের ছেলে-মেয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরণের প্রচার কাজে ব্যবহৃত সাউন্ড সিস্টেমের কারণে রাতে ঘুমাতে পারিনা,মাথা ব্যাথা করে। এসব বন্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রয়োজনে মোবাইল কোটসহ কঠোর নজরদারী না হলে এই উপদোপ থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব নয়। বাঁকড়া বাজারের সরকারী দাতব্য চিকিৎসালয়ের ডাঃ স¤্রাট হোসেন বলেন, সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শব্দে মানুয়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ।
অতিরিক্ত শব্দ দূষণে শ্রাবণ শক্তি লোপসহ উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ধরা, খিটখিটে মিজাজ, বিরোক্তবোধ, অনিদ্রা, হৃদযন্ত্রের সমস্যাসহ নানা রকম মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। শব্দ দূষণে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় শিশুরা। তাদের মানুষিক বিকাশে অন্তরায় শব্দ দূষণ। শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের বেশি হলে শ্রাবন শক্তি হ্রাস পায়। এলাকার সূধিজন ও এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ এই শব্দ দূষণ এর হাত থেকে প্ররিত্রান পেতে সংশিলিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।