বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন মর্মে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআই’য়ের প্রকাশ করা প্রতিবেদন মানছেন না তাঁর অনেক ভক্ত।
পিবিআই’য়ের প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্তের মাধ্যমে ‘হত্যাকাণ্ডে’র বিচার দাবিতে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। ‘সালমান শাহ্ ভক্ত ঐক্যজোট’র ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী সাজিদ কামাল কর্মসূচিতে যোগ দিতে সালমান ভক্তদের আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সালমান শাহর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
অন্যদিকে, সালমান শাহ হত্যা মামলায় দেয়া পিবিআইয়ের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন তার মামা আলমগীর কুমকুম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব। যতদিন বেঁচে থাকবো সালমান ভক্তদের নিয়ে আন্দোলন করে যাব।
আলমগীর কুমকুম বলেন, শাবনূর সম্পর্কে পিবিআই যে কথা বলেছে তার কোনও ভিত্তি নেই সে যদি শাবনূরকে ভালোবাসতো তাহলে সামিরাকে কেন বিয়ে করলো মৌসুমী কে কেন করলো না? প্রয়োজন হলে শাবনূরকে প্রকাশ্য আনা হোক তাকে জিজ্ঞাসা করা হোক।
সালমান তার স্ত্রী সামিরার কাছ থেকে সন্তান না পাওয়া এবং দাম্পত্য কলহের বিষয়ে আলমগীর কুমকুম বলেন, সামিরা একবার গর্ভবতী হয়েছিল। কিন্তু সালমানের অজান্তে সামিরা বাচ্চাটি নষ্ট করে। তারপর সালমান শাহ সামিরার ওপরে রেগে গিয়েছিল এমনকি তখন সে সামিরাকে ডিভোর্স দেয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা পরিবার থেকে সালমান শাহকে ডিভোর্স না দেওয়ার জন্য বলি। পিবিআই এর রিপোর্টে পারিবারিক কলহের যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সালমানের সঙ্গে পরিবারের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। এছাড়া পিবিআই যে সালমান শাহ`র যে বন্ধুদের সাক্ষ্য নিয়েছে তারা কি সত্যি সালমানের বন্ধু ছিল? তারা সবাই সামিরার বর্তমান স্বামীর বন্ধু। সুতরাং পিবিআই`র এ রিপোর্ট আমরা মেনে নিতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে একমাত্র সালমান শাহ-এ এমন একজন তারকা, যার জন্য ৪৬ জন ভক্ত আত্মাহুতি দিয়েছেন। এর বিচারও হওয়া দরকার। তিনি বলেন, সামিরাকে সালমান ডিভোর্স করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক রাতের মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।