Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জাভা দ্বীপে অগ্ন্যুৎপাতে নিহত বেড়ে ১৩

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০১, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

প্রিন্ট:

জাভা দ্বীপে অগ্ন্যুৎপাতে নিহত বেড়ে ১৩

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে মাউন্ট সুমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।শনিবার ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে সুমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে এখন পর্যন্ত হাজারও মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ-বিএনপিবি আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, অগ্ন্যুৎপাতে দুই গর্ভবতী নারীসহ ৯৮ জন আহত হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ছাইয়ে ঢেকে গেলে ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজন পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির নিকটবর্তী লুমাজাং অঞ্চলের উপপ্রধান ইন্দাহ আম্পারওয়াতির জানান, অগ্নুৎপাতের পর অন্তত ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরের দিকে হঠাৎ করে সুমেরু পর্বত আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে—ধেয়ে আসা ছাইয়ের মেঘ থেকে পালাচ্ছে দ্বীপের মানুষজন।কোন কোন জায়গায় ছাইয়ের মেঘে সূর্য সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে যাওয়ায় সবকিছু ঘন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন—আগ্নেয়গিরির আশপাশের গ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এয়ারলাইন্সগুলোকে ছাইয়ের মেঘের কারণে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে—এ ছাই ৫০ হাজার ফুট পর্যন্ত ওপরে উঠে যেতে পারে।অর্ধশতাব্দী ধরে সুমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে প্রায়ই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে তিন মাইল পর্যন্ত এলাকায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না।

স্থানীয় কর্মকর্তা তরিকুল হক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ওই এলাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মালাং শহরের সড়ক ও সেতু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে।’

অস্ট্রেলিয়ার ভলক্যানিক অ্যাশ অ্যাডভাইজরি সেন্টার বলছে, আগ্নেয়গিরির ছাই ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করা হয়। সেখানকার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বেশির ভাগ উড়োজাহাজ যে উচ্চতায় ওড়ে, সুমেরু আগ্নেয়গিরির ছাই তার চেয়েও ওপরে উঠেছে।

উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে ছাই ঢুকে গেলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

এ ছাড়া ছাইয়ের কারণে পাইলটেরা স্পষ্ট দেখতে পান না এবং উড়োজাহাজের ভেতরে বাতাসের মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। তখন অক্সিজেন মাস্ক পরা অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে।

মাউন্ট সুমেরু একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এটি থেকে চার হাজার ৩০০ মিটার উঁচুতেও ছাই নির্গত হয়েছে।

মাউন্ট সুমেরু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ৬৭৬ মিটার ওপরে অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় ১৩০টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে এটি একটি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরও এখান থেকে সবশেষ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় কয়েক হাজার মানুষকে সেখান থেকে পালিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer